হ্যাপি আক্তার : বাংলাদেশে খাদ্য পণ্য হিসেবে আলুর ব্যবহার অনেক বেশি। এরপরও প্রতি বছরই উদ্বৃত্ত থেকে যাচ্ছে বিপুল পরিমাণ আলু। তবে মিলছে না কোনো সুফল। কারণ একদিকে বাণিজ্যিকভাবে দেশে আলুর বহুমুখী ব্যবহার নেই। অন্যদিকে রপ্তানির ক্ষেত্রে যে ধরনের আলুর চাহিদা রয়েছে তার উৎপাদনও নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাণিজ্যিকভাবে আলুর বহুমুখী চাহিদা তৈরি করতে হবে। রপ্তানি বাড়াতে দেশে কেউ উন্নত জাতের আলু চাষ করতে চাইলে সহায়তা করতে হবে। আর শুধু এ পণ্যের চাষ না করে অন্য যেসব ফসলের ঘাটতি রয়েছে সেগুলোর চাষ বাড়াতে হবে।- চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের উৎপাদন হয় সাড়ে ৯৪ লাখ টন আলু। ২০১৬-১৭ সালে এসে যা দাঁড়ায় ১ কোটি ১৩ লাখ টন। পরের বছর ১০ লাখ টন কম উৎপাদন হলেও পরিমাণ ছিলো ১ কোটি টনের ওপরে। যেখানে বার্ষিক চাহিদা প্রায় ৭০ লাখ টন।বাংলাদেশে যে ধরনের আলু চাষ হচ্ছে বহির্বিশ্বে এ জাতের আলুর চাহিদা নেই বললেই চলে। ফলে উন্নত মান নিশ্চিত না করতে পারায় চার বছরে রপ্তানি নেমে এসেছে অর্ধেকে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গবেষক অধ্যাপক ড. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া বলেন, যে পরিমাণ জমিতে আলু উৎপাদন হচ্ছে তা কমিয়ে আনতে হবে। কৃষককে বুঝাতে হবে তারা যেন অন্যান্য ফসলের দিকে আগ্রহী হন। তিনি বলেন, ড্রাই জাতের আলু এ দেশে এখনো উদ্ভাবন করতে পারিনি। কেউ যদি মনে করেন বাইরে থেকে আনলে ভালো হবে। এটি সবসময় সত্য নাও হতে পারে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আলুর যে ইনড্রাস্ট্রিয়াল ব্যবহার তা হচ্ছে না। অপর দিকে রপ্তানিতে কোম্পানি লিজ নিয়ে আসতে চাইলেও বাংলাদেশের আইনের বাধার মুখে পড়তে হয়। কোম্পানিগুলো কিছু দিন ঘোরাঘুরি করে আইনের পরিবর্তন করতে না পেরে চলে যায়।
এদিকে, প্রতিবছরই কমছে পণ্যটির রপ্তানি। ২০১৩-১৪ অর্খবছরে রপ্তানি হয় ১ লাখ টনের কিছু বেশি। গেল অর্থবছরে যা এসে ঠেকেছে ৫২ হাজার টনে। বাণিজ্য মন্ত্রীর হিসাবে প্রয়োজনের চেয়েও ৩৫ লাখ টন অতিরিক্ত উৎপাদন হচ্ছে পণ্যটি। সম্পাদনা : জামাল
আপনার মতামত লিখুন :