মঈন মোশাররফ : যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ড. আলী রীয়াজ বলেন, ২০১৭ সালে রোহিঙ্গাদের দেশ ত্যাগের বিশাল লাইন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলো। এখন তা থিতিয়ে গেছে, মিডিয়ার অবস্থাও একই রকম। জাতিসংঘের ভাষায় ভয়াবহতম মানবিক বিপর্যয়টি দ্রুত সমাধানের তাগিদ উবে গেছে। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী ও অং সান সুচিসহ বেসামরিক কর্তৃপক্ষের সমালোচনা সমন্বিত আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় রূপ নেয়নি।
শনিবার সাউথ এশিয়ান মনিটরকে তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ উদ্বাস্তুবিষয়ক কমিশন (ইউএনএইচসিআর), আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক এনজিওর প্রয়াস সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের দুর্দশার অবনতিই ঘটেছে। এমনকি এখন সবচেয়ে আশাবাদী লোকটিও স্বীকার করছেন যে, দ্রুত পুনর্বাসন অবাস্তব প্রত্যাশা।
তিনি জানান, গণহত্যার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করার একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) শুরু হয়েছে। আইসিসির একটি দল উদ্বাস্তু ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করে গেছে। আইসিসি প্রাথমিক পরীক্ষাও করেছে। তবে বিচার তো দূরের কথা, তদন্তও অনেক পরের ব্যাপার।
আপনার মতামত লিখুন :