লিহান লিমা: ইকুয়েডর রাজনৈতিক আশ্রয় তুলে নেয়ার পর বৃহস্পতিবার লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাস থেকে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে মেট্রোপলিটন পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রে হস্তান্তরের আশঙ্কায় ২০১২ সাল থেকে এই দূতাবাসে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। বিবিসি, গার্ডিয়ান, ইকোনমিক টাইমস
-১৯৭১ সালের ৩ জুলাই অস্ট্রেলিয়ায় জন্ম নেন অ্যাসাঞ্জ। ছোট বেলা থেকেই ক্ষ্যাপাটে অ্যাসাঞ্জকে পাল্টাতে হয় ৩৭টি স্কুল ১৯৯০ সালে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ও সফটওয়্যার ডেভলপিংয়ে তালিম নেন তিনি, হয়ে ওঠেন দক্ষ হ্যাকার। মেলর্বোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত ছিলো তার প্রধান বিষয়।
-২০০৬ সালে অ্যাসাঞ্জ প্রতিষ্ঠান করেন উইকিলিকস। ফাঁস করেন একের পর এক সরকারী গোপন ও সংবেদনশীন নথি।
-২০১০ সালের মার্চে যুদ্ধের নামে যুক্তরাষ্ট্রের বে-সামরিক নাগরিক হত্যা, ইরাক ও আফগানিস্তান ইস্যুতে মার্কিন কূটনৈতিক গোপন নথি ফাঁস করে আলোচনা আসেন ।
- ২০১০ সালের আগস্টে তিনি সুইডেনে বসবাস ও কাজ করার অনুমতি চান। সেখানে উইকিলিকস এর অফিস খোলেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির মামলা করা হয়। সুইডেন তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার পর তাকে ব্রিটেনে আটক করা হয়। অ্যাসাঞ্জ বলেন, তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন।
-২০১২ সালে জামিনে থাকা অবস্থায় অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রে বহিঃসমর্পণের আশঙ্কায় ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় চান। সপ্তাহখানেক পরেই রাজনৈতিক আশ্রয় পান।
-২০১৬ সালে জাতিসংঘ অ্যাসাঞ্জকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে।
- ২০১৭ সালে সুইডেনে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির মামলা তুলে নেয়া হয়।
-২০১৮ সালে অ্যাসাঞ্জের ওপর বিধি-নিষেধ আরোপ করে ইকুয়েডর সরকার। উইকিলিকসের অ্যার্টনি বলেন, অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে অমানবিক জীবন কাটাচ্ছেন। এদিকে ইকুয়েডরের নতুন প্রেসিডেন্ট লেলিন মোরেনো বলেন, অ্যাসাঞ্জ তার আশ্রয়ের শর্ত লঙ্ঘন করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :