নুর নাহার : আইনি মারপ্যাচে ঠেকানো যাচ্ছে না হাঙ্গর, শাপলাপাতা মাছের মতো বিপন্ন প্রায় প্রাণীর পাচার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অচিরেই এই ধরণের মুল্যবান সামুদ্রিক সম্পদ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এসব বিপন্ন সামুদ্রিক প্রাণীর রক্ষণাবেক্ষণ ঝুলে আছে মৎস্য অধিদপ্তর আর বনবিভাগের মধ্যে সমন্বিত উদ্যোগ না থাকায়। চ্যানেল ২৪
বঙ্গোপসাগরে পাওয়া মাছের ১১ শতাংশ হাঙ্গর, স্টেক আর শাপলাপাতা রাখা, শাপলাপাতা মাছ বঙ্গপোসাগরে। প্রতি বছর অবৈধভাবে পাচার হয় ৪ হাজার টনের মতো। তাই হুমকিতে সমুদ্রের জীববৈচিত্র ও নীল অর্থনীতি।
জুওলজিক্যাল সোসাইটির সহ সভাপতি মনমোথ নাথ সরকার বলেন, বিদ্যমান মৎস আইনে মৎস সম্পদ হিসেবে এসব মাছ ধরার স্বীকৃতি নেই। এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনের আওতায় পড়েছে। কিন্তু বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করতে প্রস্তুত না।
শেরে- ই- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান বলেন, আইনের মধ্যে নির্দিষ্ট তালিকা অনুযায়ী কি করতে হবে সরাসরি সেভাবে বলা নেই। এ জায়গায় একটু সামঞ্জস্য বিধান করা দরকার।
বন বিভাগের বন সংরক্ষক মো. জাহিদুল কবির বলেন, যে প্রজাতিগুলো নিরাপত্তা আইনের নতিভুক্ত হয়নি, শিডিউল সংশোধন করে সেগুলোকে অর্ন্তভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি।
গবেষকরা জানান, জীবনচক্র আর প্রজনন মৌসুম দীর্ঘ হওয়ায় এসব প্রাণী সংখ্যায় অনেক কম। এদের রক্ষায় তাই জেলেদের প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার বিকল্প নেই।
তবে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইলে নীল অর্থনীতির বিকাশে, নিঝুম দ্বীপ আর সেন্টমার্টিনের আশপাশকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার জোর দেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :