শিরোনাম
◈ নতুন অডিও ফাঁস: ট্রাম্পের ছবি দিয়ে পোস্টার করতে বললেন শেখ হাসিনা! ◈ আত্মগোপনে থাকা কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক এমপি বাহারের ছবি ভাইরাল ◈ রাখাইনে অর্থনীতি ভেঙ্গে পড়ায় দুর্ভিক্ষ ভয়াল হাতছানি: জাতিসংঘ ◈ ‘আমি দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের ফেলে পালিয়ে যাই’, বিএনপির শোভাযাত্রায় ‘খাঁচায় বন্দি শেখ হাসিনা’ ◈ অন্তর্বর্তী সরকার 'এনজিও শাসিত' নয়, প্রমাণ দিলেন প্রেসসচিব ◈ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডারের বাংলাদেশ সফর ◈ চীন গেলেন  বিমান বাহিনী প্রধান  ◈ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের সঙ্গে মামলাও বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ আয়কর রিটার্ন  দাখিল বাধ্যতামূলক যাদের জন্য ◈ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানপুর টেস্টে বাজে আউটফিল্ড, শাস্তি পেলো ভারতের মাঠ

প্রকাশিত : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল
আপডেট : ১২ এপ্রিল, ২০১৯, ০৪:০৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রমনা বটমুলে বোমা হামলার বিচার শেষ হয়নি দেড়যুগেও

এস এম নূর মোহাম্মদ : আগামী রোববার পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছরই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দিপনায় এ দিনটি পালন করছে দেশবাসী। ঢাকাসহ সারাদেশেই পালিত হয় নান কর্মসূচি। তবে রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার দেড় যুগ পার হতে চললেও বিচার শেষ হয়নি এখনো। বিচারের দীর্ঘ সূত্রিতায় এ নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে ভোক্তভোগীদের মধ্যে।

পাঁচ বছর আগে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে রায় দেওয়ার পর বর্তমানে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করন) শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আর বিস্ফোরক মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ বিচারাধীন। ৮৪ সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

হাইকোর্টে আপিল নিষ্পত্তির বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, রমনা বটমুলে বোমা হামলা মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানি শুরু হয়েছিল। পরে ওই বেঞ্চ থেকে এটি আউট অব লিস্ট হয়ে গেছে। এখন আবার শুনানির জন্য রয়েছে। বিষয়টি আমি প্রধান বিচারপতির নজরে আনবো।

বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভ‚ইয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, সাক্ষি আসলে বিচার শেষ হবে। তারাতো আসতেছে না। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উদ্যোগ নিয়ে সমন পাঠানো হয়েছে, সাক্ষিদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করা হয়েছে। এখন পুলিশের দায়িত্ব সাক্ষিদের আনা। সেটা না হলে আরও কিছু সাক্ষি নিয়ে তা শেষ করে দিব। তারপর মামলাটি চ‚ড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাবেন বলে জানান তিনি।

২০১৪ সালের ২৩ জুন বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে। এরপর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের করা আপিলের শুনানির জন্য মামলাটি হাইকোর্টে আসে। ২০১৭ সালে বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি শহিদুল করিমের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। তবে শেষ দিকে এসে এই বেঞ্চ থেকে আউট অব লিস্ট করা হয়। এরপর বিষয়টি আর শুনানি হয়নি।

এ মামলায় বিচারিক আদালত নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এরইমধ্যে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে মুফতি হান্নানের।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণে চালানো বোমা হামলায় ঘটনাস্থলেই নয়জনের মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে মারা যায় একজন। ওই ঘটনায় রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করলে ঘটনার প্রায় আট বছর পর ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। তদন্ত কর্মকর্তা বারবার পরিবর্তন, সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের পর ২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর সবশেষে দুটি মামলারই চূড়ান্ত অভিযোগপত্র একসঙ্গে দাখিল করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়