শরীফা খাতুন শিউলী : ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সকল ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানী তেল বিক্রয়ের প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে সাড়ে সাত শতাংশ প্রদানসহ ১৫ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। ধর্মঘট চলাকালে তেল উত্তোলন বিপনন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।
১৫ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে- জ্বালানী তেল বিক্রির প্রচালিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করতে হবে, জ্বালানী তেল বিক্রির কমিশন এজেন্ট নাকি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান? বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে, প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্যাংকলরী শ্রমিকদের ৫ লাখ টাকা দূর্ঘটনা বীমা প্রথা চালু করতে হবে, ট্যাংকলরী ভাড়া বৃদ্ধি করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহণ বাতিল করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের লাইসেন্স গ্রহন বাতিল করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের অতিরিক্ত পাবলিক টয়লেট, জেনারেটর ষ্টোর ও ক্লিনার নিয়োগের বিধান বাতিল করতে হবে, সড়ক ও জনপথ বিভাগে কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জন্য ইজারা গ্রহন প্রথা বাতিল করতে হবে।
খুলনা জ্বালানী তেল পরিবেশক সমিতির অফিস সচিব সরোজ দাস পিন্টু জানান, ১৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারী খুলনা বিভাগসহ বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার সকল ট্যাংকলরী মালিক-শ্রমিক ও জ্বালানী তেল ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠক থেকে ধর্মঘটের সিন্ধান্ত নেয়া হয়। যা মন্ত্রনালয়কে অবহিত করা হয়। মন্ত্রনালয় চিঠি পেয়ে তেল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য দশজনের নামের তালিকা চেয়ে পাঠালেও পরে আর কোন আলোচনাই হয়নি। ফলে ৩০ মার্চ আবারও বৈঠকে বসেন তেল ব্যবসায়ীরা। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় ১৬ এপ্রিল থেকে তেল উত্তোলন বিপনন ও সরবরাহ বন্ধ রাখার।
আপনার মতামত লিখুন :