হ্যাপি আক্তার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী প্রজন্ম যে সুষ্ঠু পরিবেশে বসবাস করতে পারে এবং তাদের জীন সুন্দর ও অর্থবহ হয় এবং বাঙালি যেন উন্নত জাতি হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পায়, সে দিকে লক্ষ্যকে সামলে রেখেই সরকার নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। দেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এই ধারা সকলকেই রক্ষা করতে হবে এবং বাস্তবায়ন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকাল বিশ্ব পানি দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পানি সকলের অধিকার তা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়, সে দিকটি লক্ষ্য রাখতে হবে। মানব জীবনের সভ্যতা গড়ে উঠেছে পানিকে কেন্দ্র করে। তাই পানির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নদীমাতৃক দেশকে গড়ে তুলতে পারি সে দিকে লক্ষ্য রেখেই সরকার কাজ করছে। শুকনা মৌসুমে যাতে পানি থাকে তাই সমস্ত নৌপথ গুলো ড্রেজিং করা। এবং নৌ পথ গুলো আবার চালু করা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, পানির অপর নাম জীবন কিন্তু এই পানিই সর্বনাশের দিকে নিয়ে যায়। যা বাংলাদেশে দেখা যায়। নদী ভাঙনে বহু মানুষ নিঃস্ব হয়ে যায়। যার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে যাতে এই পানি আর্শিবাদ হয়। তার সাথে সাথে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে। সে দিকটিকে লক্ষ্য রেখেই যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। নদীগুলো মানবদেহের মতো সিরা-উপসিরার মতো কাজ করে যা দেশকে বাঁচিয়ে রাখে। কাজেই নদীকে বাঁচানো ও পানিকে রক্ষা করা এবং পানি ব্যবহারে মিতব্যয়ী হতে হবে।
উল্লেখ্য, বিশ্ব পানি দিবস ছিল গত ২২ মার্চ। কিন্তু দিবসটি আজ ১১ এপ্রিল পালন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। ‘পানি সবার অধিকার, বাদ যাবে না কেউ আর’- এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ দেশে বিশ্ব পানি দিবস ২০১৯ পালন করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :