লিয়ন মীর : বিশিষ্ট নাট্য ব্যক্তিত্ব অভিনেত্রী সারা যাকের মনে করেন, আগে যেমন সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে মানুষ সচেতন ও নৈতিকতা বোধ থেকে আন্দোলন করতো এখনো তেমনটাই করা হচ্ছে কিন্তু আন্দোলনের ধারাটা বদল হয়েছে। তিনি বলেন, যুগের পরিবর্তন হয়েছে। সব জায়গায় যেমন পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে ঠিক তেমনি আন্দোলনের গায়েও পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে। যার ফলে আন্দোলন রাজপথ ছেড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্থান করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, একজন-দু’জন প্রতিবাদ করলে তাকে আন্দোলন বলে না। অসংখ্য মানুষ যখন একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ করে তখন তাকে আন্দোলন বলে। এখন এই আন্দোলনটা রাজপথে হতে পারে আবার অন্য মাধ্যমেও তো হতে পারে। এখন যেহেতু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম তথ্য আদান-প্রদানের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে সেহেতু মানুষ তাদের প্রতিবাদের স্থান হিসেবে এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটাকেই বেছে নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন কোনো ইস্যুভিত্তিক প্রতিবাদের ঝড় উঠে তখন কী সেটাকে আমি আন্দোলন বলবো না? নিশ্চিয়ই বলবো। এখানে শুধু স্থান এবং ধরন পরির্তন হয়েছে তবে দাবি কিন্তু একই। রাজপথ এবং সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যম এখানে একই মনোভাব প্রকাশ করছে এবং প্রতিষ্ঠা করছে বলে তিনি মনে মত দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতীতে রাজপথ কাঁপানো নেতৃত্ব যাদের থলিতে আছে তাদের কাছেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রতিবাদের প্লাটফর্ম হিসেবে গুরুপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আবার এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেই অতিসম্প্রতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছে। এর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সার্বিক বিবেচনায় আন্দোলনের ক্ষেত্র হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা অবমূল্যায়ন করার কোনো সুযোগ নেই বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, আমাদের সময় থেকে তুলনামূলকভাবে বর্তমান প্রজন্ম সহজেই তথ্য আদান-প্রদান করছে। এমনকি বর্তমানে কোনো ঘটনাই চেপে রাখা যায় না। সব ঘটনাই প্রকাশ পাচ্ছে। তাই বর্তমান প্রজন্ম কখন কীভাবে প্রতিবাদ করবে এটা তাদের বেঁধে দেয়া যাবে না।
আপনার মতামত লিখুন :