জিয়ারুল হক : প্রতিবছর সড়ক দুর্ঘটনায় যে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ টাকার অংকে ৩৫ হাজার কোটি টাকারো বেশি। উন্নত দেশে দুর্ঘটনাজনিত ক্ষতি এড়াতে বীমার ব্যবস্থা থাকলেও বাংলাদেশে বীমায় আগ্রহ নেই পরিবহন মালিক-চালক কারোরই। কারণ হিসেবে বীমা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের কথা বলছেন তারা। তবে বীমা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে বীমা করলে কমবে দুর্ঘটনা, সুরক্ষা পাবে ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক কিংবা মালিকরাও। সময় নিউজ
যাত্রী কল্যাণ সমিতির হিসেবে, ২০১৮ সালে সড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার। এতে ১২ শতাধিক চালক ও পরিবহন শ্রমিকসহ মারা গেছে বিভিন্ন পেশার প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মানুষ। অথচ এক্ষেত্রে নেই কোন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা। বীমা করা না থাকায় দুর্ঘটনার শিকার পথচারী বা যাত্রীরাও পান না কোনো আর্থিক সহায়তা। পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, কোনো রকমে আইনি দায় বা থার্ড পার্টি ইন্স্যুরেন্স করে পুলিশি ঝামেলা এড়াতেই বেশি আগ্রহ মালিকদের।
চালকরা বলেন, কোর্টে গেলে ৬০০ টাকা দিলেই ইন্স্যুরেন্স পাওয়া যায়। তবে সেখান থেকে চালক-শ্রমিকরা কোনোভাবেই লাভবান হন না বলে জানান তারা। রাস্তায় পুলিশ আটকালে দেখানোর জন্যই শুধু, এর আর কোনো কাজ নেই। কোনো ক্ষতিপূরণও পাবো না।
পরিবহন মালিকদের দাবি, বীমা করলে নানা টালবাহানায় দাবি পরিশোধ করেনা কোম্পানিগুলো। তবে ভিন্ন কথা বলছেন বীমা সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, কোনো যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত হলে বা কোনো গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া খুব দুষ্কর।
সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান বলেন, রাস্তায় চলার জন্য যে ইন্স্যুরেন্স, তারা সেটা করছেন। ইন্স্যুরেন্স দিতে গেলে আমরা প্রথমে দেখবো যে গাড়ির ফিটনেস আছে কিনা, ড্রাইভিং লাইসেন্স ভুয়া কিনা, ওভারলোড করার কারণে কোনো সমস্যা হলে সেগুলো তো আমাদের কাভারেজের ভিতর আসবে না।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন সমিতির মহাসচিব খোন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এগুলো অনেক ক্ষেত্রে থাকেনা, পাওয়া যায় না। কিন্তু যাদের এগুলো আছে তারাও পায় না।
প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জালালুল আজীম বলেন, তারা মনে করছে যে ইন্স্যুরেন্স করলে যদি আমাকে বেনিফিট পেতে হয়, তাহলে তো আমাকে এ সমস্যাগুলো সমাধান করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :