জাবের হোসেন : অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জামের দাম কেবল বাড়ছেই। এতে এক মাসের ব্যবধানে এ সব পণ্যের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সূত্র: নিউ এইজ
প্রকাশ, ব্যাপক চাহিদার কারণে ঢাকার বাজারে এ সব পণ্যের দাম অত্যধিক বেড়ে গেলেও তা দেখার কেউ নেই। ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ক্রেতারা বাধ্য হয়ে উচ্চমূল্যে এসব কিনছে। প্রশাসনসহ নানা নজরদারি সংস্থার ভয়ে তারা এসব কিনতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা গেছে, বহুতল ভবন, প্রাইভেট ক্লিনিক এবং শপিং মলের মালিকরা তড়িঘড়ি করে অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ক্রয়ে নওয়াবপুরসহ কয়েকটি মার্কেটে ভিড় করছে। ক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এসব পণ্যের দাম দ্বিগুণ করে ফেলেছে।
ক্যবের এক কর্মকর্তা বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার কাউন্সেল এই উচ্চমূল্যের বিষয়টি নিরবে দেখছেন মাত্র। কোন প্রতিকার নেই। এই অনৈতিক আচরণ তাদের প্রতিহত করার কথা।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে অগ্নিনির্বাপক যে পাউডারের দাম ছিলো ৭৫০ টাকা তা এখন ১৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নওয়াবপুরে কে এস ইন্টারন্যশনালের ম্যানেজার মো. বিপলু এই তথ্য দেন। আগে কার্বনডাই অক্সাইড বিক্রি হতো ৯ শত টাকায়। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬শত টাকায়।
এদিকে অগ্নি নির্বাপক সরঞ্জামাদি বিক্রি করেন এমন এক ব্যবসায়ী বলেন, সরকারের নানা চাপের কারণে এসব জিনিসপত্রের ব্যবহার বেড়েছে। বিক্রিয়ও প্রচুর এবং তাদেরকে আমদানিকারকদের কাছ থেকে বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
শামা ইন্টরন্যশনালের সেলস ম্যানেজার লিটন পাটোয়ারী বলেন, ড্রাই পাউডারের ব্যাপক সংকট বাজারে। উল্লেখ্য জাতীয় ভবন নীতিমালা অনুয়ায়ী ছয়তলা ভবন বহুতল ভবন হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে এবং তারা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহারে এখন মরীয়া হয়ে উঠেছেন।
ফায়ার ফাইটিং এসোসিয়োশনের বিদায়ী সভাপতি নিয়াজ আলী চিশতী বলেন, কোন কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, গার্মেন্ট কারখানার জন্য প্রতিমাসে ১০ হাজার পিস অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে সরকারি অফিসও রয়েছে। তিনি বলেন,এসব পণ্যের মূল্য সর্বোচ্চ আরো দুমাস বাড়তি থাকতে পারে। তবে চীনের নতুন চালান এসে গেলে দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :