স্বপন দেব : মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ৫২ পদের মধ্যে ১৫ পদই দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। যার ফলে জেলার সবচেয়ে বড় এই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা চরম ব্যাহত হচ্ছে। রয়েছে নানা সংকটও।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা ওয়ার্ড ভিজিট এবং রাউন্ড ফাঁকি দেন। দুপুর ১টার পর চিকিৎসকের দেখা মেলে না। বিভিন্ন বিভাগে ডাক্তাররা দীর্ঘদিন ধরে কেউ ছুটিতে আবার কোন বিভাগের পদই শূন্য। অনেক সময় চিকিৎসকদেরকে তাদের কক্ষেই পাওয়া যায় না। এমআরআই, সিটিস্ক্যানের জন্য রোগীদের কমপক্ষে দুই মাস অপেক্ষায় থাকতে হয়। হাসপাতালে নেই প্যাথলজিস্টও। এই জনবল ও সরঞ্জামের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। এর বাইরে আছে দালালচক্রের দৌরাত্মও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ৫২টি পদের মধ্যে ১৫টিই শূন্য রয়েছে। ১ জন সহকারি পরিচালক, এ্যানেসথেসিয়া, চর্ম ও যৌন, কার্ডিওর ৩ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট, চক্ষু বিভাগের ১ জন সিনিয়র কনসালটেন্ট, ডেন্টাল বিভাগের ১ সিনিয়র কনসালটেন্ট, প্যাথলজির জুনিয়র কনসালটেন্ট, সহকারী সার্জন, প্যাথলজিস্ট, ১ জন ইএমওসহ গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে। শুধু ৩৭টি পদ পূর্ণ। এছাড়াও নার্সের ১৩০টি পদের মধ্যে ১০৬টি পদ পূর্ণ ও সহকারী নার্সের ৩৪টি পদের মধ্যে ৫টি শূন্য রয়েছে।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিস্ট হাসাপাতাল হচ্ছে এই জেলার সর্বোচ্চ চিকিৎসা কেন্দ্র। জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে আসেন। কিন্তু গাফিলতি ও পদ শূন্যতার কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। চিকিৎসা নিতে আসা স্থানীয় অনেকেই জানান, চিকিৎসার জন্য এত দূর থেকে কষ্ট করে বড় হাসপাতালে এসেও ডাক্তার পান না তারা। তাদের প্রশ্ন এই বিড়ম্বনার অবসান হবে কবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথি দত্ত জানান,যারা ছুটি আছেন তারা তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যোগ দেওয়ার কথা। এছাড়া পদ পূরণ করতে নতুন নিয়োগ প্রয়োজন। তিনি আরোও জানান, এই হাসপাতালে আধুনিক মানের শিশু পরিচর্চা কেন্দ্র রয়েছে যা অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও নেই।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. শাহজাহান কবির বলেন,নতুন নিয়োগ বিসিএসের মাধ্যমে সম্পন্ন হলে সংকট কেটে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :