আল-আমিন : দুনিয়া বা ইহকালকে বলা হয় পরকালে সফলতা লাভের কর্মক্ষেত্র। মুমিনদের মধ্যে তারাই পরকালে সফলতা লাভ করবে, যারা মহান আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে তারা দুনিয়ার সব সুযোগ-সুবিধাকে পরকালে সফলতা লাভের জন্য ব্যবহার করে। কেননা মুমিনের কাছে পরকাল অপেক্ষা উত্তম কোনা কোনো কিছুই হতে পারে না।
পবিত্র কুরআন শরীফে মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আল্লাহর কাছে তাদের জন্য যা আছে তা সর্বোত্তম ও স্থায়ী, যারা মারাত্মক পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে, রাগ হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করে, প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দেয়, নামাজ প্রতিষ্ঠা করে, নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে কর্ম সম্পাদন করে, তাদের যে রিজিক দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে, অত্যাচারিত হলে প্রতিশোধ গ্রহণ করে। মন্দের প্রতিফল অনুরূপ মন্দ, তবে যে ক্ষমা করে দেয় ও আপোষ নিষ্পত্তি করে- আল্লাহর কাছে তার পুরস্কার রয়েছে।’ (সুরা শুরা : আয়াত ৩৬-৪০)
যে সকল মুমিন বান্দারা পরকালে সফলতা লাভে দুনিয়াকে ভালোবাসে এবং দুনিয়াতে আল্লাহর দেওয়া বিধান যথাযথ বাস্তবায়নে আত্মনিয়োগ করে, তারা প্রধানত ৭টি শ্রেণিতে বিভক্ত। সেই ৭ শ্রেণির ব্যক্তিরা হলেন:
-যারা গুরুত্বর পাপ ও অশ্লীল কাজ থেকে বেঁচে থাকে।
- যারা কোনো কাজে অন্যের প্রতি প্রচণ্ড রাগের সময়ও তাকে ক্ষমা করে দেয়।
- যারা আল্লাহর নির্দেশ ও আহ্বানে সাড়া দেয়।
- যারা আল্লাহর নির্দেশতি পন্থায় নামাজ প্রতিষ্ঠা করে।
- যারা যে কোনো কাজ নিজেদের মধ্যে পরামর্শের আলোকে সম্পাদন করে।
- যারা আল্লাহর দেয়া জীবিকা থেকে তার পথে ব্যয় করে।
- যারা কারো দ্বারা জুলুম বা অত্যাচারের শিকার হলে, হয় সমপরিমাণ প্রতিশোধ গ্রহণ করে অথবা প্রতিশোধ না নিয়ে ক্ষমা করে দেয় অথবা অত্যাচারের পরিমাণ অনুযায়ী আপোস-মীমাংসায় সম্মত হয়।
আল্লাহ তাআলা উল্লেখিত বৈশিষ্ট্যগুলোর কথা পবিত্র কুরআনে ঘোষণা করেছেন। এগুলো হলো মুমিন বান্দার গুণ, যা সে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য চর্চা করে থাকে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পরকালের স্থায়ী ও সর্বোত্তম পুরস্কার মহা সফলতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
আপনার মতামত লিখুন :