উত্তম হাওলাদার,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতের ছাতার নিচে বসলেই পর্যটকদের গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। ছয় মাস পূর্বে এসব বীচ ছাতা ও বেঞ্চ প্রতি ঘন্টায় পর্যটকদের কাছ থেকে ভাড়া নিত ২০ টাকা। বর্তমানে খলিফা ট্যুরিজমসহ বিভিন্ন ট্যুরিজমের নামে রিসিভ কেটে আদায় করা হচ্ছে ৪০ টাকা। এ নিয়ে প্রতিদিনই বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ছে পর্যটকরা। সমুদ্রের জলরাশি উপভোগ ও বিনোদনের জন্য সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে পশ্চিম ও পূর্ব পার্শ্বে শতাধিক ছাতাসহ বেঞ্চ পেতে হরহামেশায় এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র।
জানা গেছে, পশ্চিম পাশের ১৫টি বেঞ্চের মালিক কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক বেলাল খলিফা, ১১টির মালিক তার ভাই আকাশ খলিফা, ৪০ টির মালিক জাহঙ্গীর, সেলিম, মাসুদ, ফজলু খাঁ। কোন পর্যটক যদি অতিরিক্ত ভাড়া দিতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাহলে ওইসব ভাড়া আদায়কারীদের হাতে প্রায়ই হতে হচ্ছে লাঞ্ছিত। এসব বীচ ছাতা ও বেঞ্চ মালিকদের দ্রুত নিয়ন্ত্রনসহ নীতিমালার আওতায় আনা না হলে এর প্রভাব পড়বে কুয়াকাটা পর্যটন শিল্পে এমন অভিমত পর্যটন সংশ্লিস্ট ব্যবসায়ীদের।
একাধিক পর্যটক জানান, সমুদ্র স্নানের সময় বেঞ্চে জামা কাপড় রেখে যাওয়ায় ঘন্টা প্রতি ৪০ টাকা ভাড়া দাবি করে। এখানে বেঞ্চের ভাড়া অতিরিক্ত আদায় করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে এসব দেখভাল করার কেউ নেই। ছাতা ও বেঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি বেলাল খলিফা বলেন, ছাতা ও বেঞ্চ আধুনিক করা হয়েছে। তাই ঘন্টা প্রতি ২০ টাকার পরিবর্তে ৪০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
কুয়কাটা পৌর মেয়র আবদুল বারেক মোল্লা বলেন, বিষয়টি দুখ:জনক। যদিও এটি পৌরসভার আওতাভূক্ত নয় তবুও বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. তানভীর রহমান সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :