তৌহিদুর রহমান নিটল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে সার কারখানার কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীরা। সোমবার দুপুরের দিকে কারখানা প্রধান ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তারা। এ সময় প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে কমান্ড এরিয়াভুক্ত ৭ জেলায় এক ঘণ্টা সার সরবরাহ বন্ধ থাকে।
সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের সঞ্চলনায় বক্তব্য রাখেন- আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈফ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি হাজী মো. তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ।
শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন গ্যাস সংকটের কারণে আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বর্তমানে এলএনজি গ্যাস চালুর পর চলতি অর্থবছর থেকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকাতে গ্যাসের সংকট নেই। এ জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষ চলতি অর্থ বছরের ১ লাখ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু বিসিআইসি কর্তৃপক্ষ চলতি অর্থ বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেড় লাখ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। চলতি অর্থ বছরে এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৬ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার বাকী রয়েছে আরো ৩৪ মেট্রিকটন।
কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়া জানান, কারখানাটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরিত হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারী নিরলসভাবে চেষ্টার ফলে কারখানাটি লোকসানী থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের দ্বার প্রান্তে আসার পর কর্তৃপক্ষ কারখানার উৎপাদন বন্ধের পাঁয়তারা করছে। যা খুব দুঃখজনক। তাই দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আশুগঞ্জ সার কারখানা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, কারখানাটির বিভিন্ন প্লান্টের ক্রটি থাকাতে জরুরি মেরামত না করা হলে কারখানার ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই বিসিআইসির পরিচালনা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ করে মেরামত কাজ করা হবে। ইতোমধ্যে বিদেশি বিষেশজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :