লিহান লিমা: ১১ এপ্রিল ভারতের লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিল্লীতে সোমবার নিজেদের নির্বাচনি ইশতেহার প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন ভারত জনতা পার্টি (বিজেপি)। ‘সংকল্পপত্র ’ নামে প্রকাশিত এই ইশতেহারের এবারের স্লোগান ‘ফির একবার, মোদি সরকার’। ইয়ন, এনডিটিভি, ইকনোমিকস টাইমস
এই ইশতেহারে ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তর অর্থনীতির দেশে পরিণত, অযোধ্যায় রাম মন্দির প্রতিষ্ঠা, কৃষকদের আয় দ্বিগুণ, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলুপ্ত ও নাগরিকত্ব বিল পাশসহ মোট ৭৫টি প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
জাতীয় নিরাপত্তা খাতের প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস ও ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকানো ।
কৃষি ও কৃষকদের প্রতি প্রতিশ্রুতির ইশতেহারে রয়েছে সব কৃষকের কাছে কৃষি সম্মাননিধির সুবিধা পৌঁছে দেওয়া, ৬০ বছর পর কৃষকদের পেনশন সুবিধা দেয়া ও কোনওরকম সুদ ছাড়া ১ লাখ টাকা পর্যন্ত কিশান ক্রেডিট কার্ড।
অর্থনীতি বিভাগে রয়েছে স্টার্ট আপে ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ফ্রি লোন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ে সহজ শর্তে ঋণের পরিমাণ বাড়ানো, ক্রেডিট কার্ডে একলক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন ৫ বছর পর্যন্ত সুদ হবে ০%, রাষ্ট্রীয় ব্যাপার আয়োগ গঠন করা হবে, ছোট দোকানদারদের জন্যও পেনশনের ব্যবস্থা ও ২৫ লক্ষ কোটি টাকা গ্রাম এলাকায় বরাদ্দ।
অবকাঠামো খাতে রয়েছে, প্রতিটি পরিবারের জন্য পাকা বাড়ি ও গ্যাসের সংযোগ, সব বাড়িতে শতভাগ বিদ্যুত, প্রতিটি বাড়িতে টয়লেট, জাতীয় সড়ক দ্বিগুণ করা হবে, ২০২০ নাগাদ সব রেললাইনে বৈদ্যুতিকরণ, ২০২২ নাগাদ সব রেললাইন ব্রডগেজ ও ২০২৪ সালের মধ্যে পরিকাঠামো খাতে একশো কোটি টাকা বিনিয়োগ।
নারী খাতে রয়েছে সবক্ষেত্রে নারীদের যোগদান শুনিশ্চিত , তিন তালাক ও হিল্লা বিবাহ আইন পাশ।
স্থাস্থ্য খাতে রয়েছে দেড় লাখ স্বাস্থ্যসেবা সেন্টার প্রতিষ্ঠা, ৭৫টি নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা ও ডাক্তারদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
বৈদেশিক নীতির মধ্যে রয়েছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হতে জোর প্রচেষ্টা, বৈদেশিক নীতি ও ভূ-রাজনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও গবেষণায় জোরদান, প্রতিবেশি দেশগুলোকে অগ্রাধিকার নীতি ও বিশ্বশত্রুদের বিরুদ্ধে ঐক্যজোট।
ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিজেপি প্রধান অমিত শাহ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা। বিজেপি প্রধান অমিত শাহ বলেন, এই ইশতেহার তৈরি আগে ৬ কোটি মানুষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। ইশতেহার প্রকাশের পর মোদি বলেন, ‘আমাদের প্রেরণা জাতীয়তাবাদ, মন্ত্র সুশাসন। একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখেই দেশ এগিয়ে যাবে।’