রুহুল আমিন : বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব রাস্তা হারিয়ে ফেলেছে। যার কারণে অবৈধ সরকারের এমপি মন্ত্রীরা বিএনপিকে নিয়ে উল্টা পাল্টা কথা বলেছেন। তাদের জনপ্রিয়তা যদি থাকতো তাহলে তারা তাদের গুণ্ডা বাহিনী ও প্রশাসন দিয়ে রাতে ভোট চুরি করে জয়ী হবার প্রয়োজন ছিলো না।
রবিবার চ্যানেল টুয়েন্টিফোরে এক টকশোতে বলেন, তাদের জনপ্রিয়তা যদি বেশি থাকে তাহলে তারা দিনে ভোট দিয়ে দেখাক। তাদের জনপ্রিয়তা নেই বিধায় তারা দিনে ভোট দিতে ভয় পায়। আওয়ামী লীগ যখন দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চালু করলো তখন সবার আগে বিএনপি প্রতিবাদ করেছিলো। এখন তারা দলীয় প্রতীক বাদ দিতে চায়। দেশটা এখন সিনেমা তৈরির কারখানা হয়ে গেছে। দেশে এখন একনায়কতন্ত্র চলছে। আওয়ামী লীগের মনে যা খুশি তারা তা করে। কোনটা বৈধ ও অবৈধ তারা এটা দেখে না। কারণ তারা নিজেরাই তো অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় এসেছে।
হাবিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথা আওয়ামী লীগের লোকজন শোনে না। উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী ১৩১ বিজয়ী হয়েছেন। এর দ্বারা বুঝা যায় তাদের দলে কোনো গণতন্ত্র ও আদর্শ নেই। তারা চিন্তা করে কীভাবে জনগণের টাকা জোর করে মেরে খাবে। তা না হলে তাদের সভানেত্রীর কথা শুনতো। ১২২জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেশটা তাদের নিজেদের সম্পদ মনে করে। মেম্বার হতে যেখানে বিপুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় সেখানে এমপি হতে প্রতিদ্বন্দ্বি ছাড়াই বিজয়ী হয়ে যায়। এর দ্বারাই স্পষ্ট দেশে বিন্দুমাত্র কোনো গণতন্ত্র নেই।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে দেশে সবচেয়ে বেশি গ্রেনেড হামলা হয়েছে। তাদের আমলে যশোর, মকসুদপুর, কোঠালিয়াপাড়া, রমনা, কমিউনিস্ট এর পার্টি অফিসে, এমনকি আওয়ামী লীগের অফিসেও হামলা হয়েছিলো। অথচ তারা বিএনপিকে সব সময় মিথ্যাচার করে বিএনপির সময় নাকি বেশি গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো।
আপনার মতামত লিখুন :