হাসান শান্তুনু : চুলা জ্বলে না, চাল নেই। ক্ষুধা মেটানোর ভাত নেইÑ কী ভয়ানক অভাব! জলিরা প্রাণ টেকাতে ভাত চুরি করে। দিনের পর দিন ক্ষুধার যন্ত্রণায় বিষিয়ে ওঠা জীবনের নারীরা শুধু কয়েক মুঠো ভাতের আশ্বাস পেয়ে পরপুরুষের ঘরে যাচ্ছেন। দর্শকের চোখ ভিজে আসছে অভাবতাড়িত জীবনগুলোর নিত্যদিনের ভাতের ক্ষুধা মেটানোর সংগ্রামের গল্পে।
এক দৃশ্যে জোকারের রংচড়া পোশাকে দর্শকের সামনে আসেন টেলি সামাদ। বিনোদনের প্রয়োজনে, তবুও ওই সিনেমায় তার এমন উপস্থিতি কেন জানি ‘নিষ্ঠুর’ মনে হয়েছিলো! বালকবেলায় ‘ভাত দে’ সিনেমাটি দেখা হয় বলেই হয়তো এমনটা মনে হয়েছিলো। তবে তার দুর্দান্ত অভিনয় নিঃসন্দেহে দর্শকমন ছুঁয়ে যায়।
ভাতের সংস্থানে সংগ্রামী গোলাপীদের রান্নাঘরের সীমানা ডিঙিয়ে ট্রেনে উঠার গল্প। ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’। ওই সিনেমা দিয়েও টেলি সামাদের বিশেষ আসন হয় দর্শকমনে। তবে সম্ভবত তিনি দর্শকদের কাছে ‘পায়ে চলার পথ’ ছবিটির মধ্য দিয়ে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়তা পান। বাংলা সিনেমার জগতে নিজের কালজয়ী অবস্থানের পথটি নির্মিত হয়। তার মতো অভিনেতার প্রস্থান মানে দর্শকমনের আকাশে শোকের মেঘ জমা হওয়া। যদিও প্রস্থান সব জীবনেরই অনিবার্য সত্য। প্রিয় এ অভিনেতার আত্মার শান্তি হোক। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :