বিনোদন প্রতিবেদক : সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১৪ সালের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্র ও সঙ্গীতের চারজন শিল্পীকে আর্থিক অনুদান দেন। তারা হলেন নির্মাতা শহীদুল ইসলাম খোকন, অভিনেতা টেলি সামাদ, আবদুস সাত্তার ও বংশীবাদক বাসুদেব দাস।
প্রধানমন্ত্রী তাদের প্রত্যেককে ২০ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। এ চারজন শিল্পীই আর্থিক সংকটের কারণে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছিলেন না। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য এ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
অনুদান নিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হলেও মাঝে মাঝে অসুস্থ হতেন তিনি। কয়েকবার অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোও হয়। সর্বশেষ গত ১৯ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিলো তাকে। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন টেলি সামাদ। সে সময় ডাক্তার জানিয়েছিলেন, টেলি সামাদের খাদ্য নালীতে সমস্যা রয়েছে পাশাপাশি তার বুকে ইনফেকশন ছিল, ডায়াবেটিস ছিল, রক্তের প্লাটিলেটও কমে যাচ্ছিলো। সেখানে ১৬ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর সুস্থ হলে বাসায় ফেরেন। এরপর হঠাৎ আবারও অসুস্থ হলে তাকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
গত বৃহস্পতিবার অসুস্থ হলে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অসুস্থ বেশি হলে তাকে শুক্রবার মধ্যরাতে আইসিইউতে নেওয়া হয়। শনিবার দুপুরে দ্বায়িত্বরত ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আজ রোববার টেলি সামাদের জানজা সম্পূর্ণ হয় সাড়ে ১২টায়। এর আগে দীর্ঘদিনের কর্মস্থল এফডিসিতে তাকে শ্রদ্ধা জানান দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও কলাকুশলীরা। জানাজা শেষে তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুন্সিগঞ্জের তার নিজ গ্রাম নয়াগাওতে। সেখানে পারিবারিক গোরস্হানে তাকে বাবা-মায়ের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।
উল্লেখ্য, টেলি সামাদ দীর্ঘ দিন ধরে খাদ্যনালীতে সমস্যা ও ফুসফুসের সমস্যাজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন। শনিবার (৬ এপ্রিল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে টেলি সামাদ। তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে আজ এফডিসিতে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য সিনিয়র-জুনিয়র অনেক তারকার দেখা মেলেনি।
আপনার মতামত লিখুন :