বিনোদন ডেস্ক: ‘মানুষ বাবাদের ভয় পায়। সন্তানদের কাছে বাবারা একটু রাশভারী হয়, রাগী ব্যক্তিত্বের হয়। কিন্তু আমাদের বাবা ছিলেন মজার মানুষ। আমরা সব ভাইবোনেরা পথ চেয়ে থাকতাম বাবা কখন বাসায় ফিরবে।
কিন্তু আর কোনোদিন বাবার জন্য পথ চেয়ে থাকতে হবে না। ভাবলেই বুক ফেটে যাচ্ছে বাবা আর কোনোদিন বাসায় ফিরবে না। তাকে নিয়ে আর কোনোদিন মজা করবো না’- এফডিসিতে অশ্রুসিক্ত চোকে এভাবেই বাবাকে নিয়ে বলছিলেন টেলি সামাদের কন্যা সোহেলি সামাদ কাকলী।
গেল কয়েক বছর ধরেই অসুস্থতায় ভুগছিলেন চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা টেলি সামাদ। তাকে ‘হাসপাতাল টু বাসা’ করেই জীবনের শেষ দিনগুলো কাটাতে হয়েছে। এই সময়টাতে তার পাশে দেখা গেছে কাকলীকে। বাবার চিকিৎসা সামলেছেন, গণমাধ্যমকর্মীদের সামলেছেন তিনি যোগ্য কন্যা হিসেবেই।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হলেই তিনি বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইতেন। এবারও তিনি দোয়া চাইলেন, তবে বাবার বেহেস্ত লাভের জন্য।
বাবার মৃত্যুতে কাকলী যেন বাকরুদ্ধ। রোববার এফডিসিতে নিয়ে আসা হয় টেলি সামাদের মরদেহ। সঙ্গে আসেন কাকলীও। গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হলে তিনি বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তিন ভাই বোন। আমার ছোট বোন সায়মা সামাদ। আর আমার বড় ভাই ওসমান সামাদ। তিনি থাকেন আমেরিকাতে। তিন ভাই বোনকে কলিজার টুকরার মতো আগলে রাখতেন বাবা। শিক্ষা দিয়েছেন মানবিকতা, মনুষত্ব ও জীবনের চমৎকার সব দর্শনের।
বাবাকে কাছে পেলেই আহ্লাদে গদগদ হতাম আমরা। সবসময় চাইতাম বাবা যেন বাসার বাইরে না যান। বাবা খুবই মজার মানুষ ছিলেন। এমন বাবা চলে গেল। অনেক কষ্ট করেছেন তিনি শেষ দিনগুলোতে। বাবার জন্য দোয়া করবেন যেন আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করেন।’
তিনি চলচ্চিত্রের মানুষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান তার বাবাকে শেষ বিদায়ে সম্মানিত করার জন্য। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রসঙ্গত, রোববার সকাল ১১টায় এফডিসিতে আসে টেলি সামাদের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স। সেখানে দুপুর সাড়ে ১২টায় তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জানাজায় উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, তথ্য সচিব আব্দুল মালেক, এমপি ও চিত্রনায়ক আকবর পাঠান ফারুক, আলমগীর, জায়েদ খান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, অমিত হাসান, সম্রাট, আলীরাজ, ফকির আলমগীর প্রমুখ।জাগো।
আপনার মতামত লিখুন :