মহিব আল হাসান : ‘বাবা আমাদের ছেড়ে এত তাড়াতাড়ি এভাবে চলে যাবেন তা কখনই কল্পনায় করতে পারিনি। বাবার ইচ্ছাটাও আর পূরণ হলো না। বাবার শেষ ইচ্ছা ছিলো নিজের জিবনী নিয়ে চলচ্চিত্র বানানোর কিন্তু সেটা না করেই চলে গেলেন। বাবা তোমার অসম্পূর্ণ কাজটা কেনও করতে পারলে না? এভাবে কেঁদে কেঁদে কথা গুলো বলছিলেন সদ্য প্রয়াত টেলি সামাদের বড় মেয়ে সোহেলা সামাদ কাকলী।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে কাকলী বলেন, বাবা খুব দ্রুতই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। বাবাকে আর কোনও দিন বাবা বলে ডাকতে পারবো না, সত্যি ভাবতে পারছি না। বাবা কত আশা করেছিলেন নিজের জীবনী নিয়ে একটা চলচ্চিত্র বানাবেন। সেটা তিনি আর বানাতে পারলেন না। অসম্পূর্ণই থেকে গেলো বাবার শেষ ইচ্ছা।
গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ। গত বৃগহস্পতিবার প্রচন্ড জ্বর নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপর শুক্রবার অসুস্থ বেশি অসুস্খ হয়ে পরলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
তার আসল নাম আবদুস সামাদ। তবে দর্শকদের কাছে ‘টেলি সামাদ’ নামেই তিনি বেশি পরিচিতি পান।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সিগঞ্জের নওগাঁয় গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম অভিনয় করেন। চার দশক অভিনয় জীবনে তিনি অভিনয় করেন প্রায় ৬০০ সিনেমায় ও গান গেয়েছেন ৪০টির অধিক সিনেমায়।
আপনার মতামত লিখুন :