জাহিদুল কবীর মিল্টন : যশোর শিক্ষাবোর্ডে ইংরেজি প্রথমপত্রে নকলের দায়ে আটজন পরীক্ষার্থী বহিষ্কার হয়েছে। এছাড়া ১ হাজার ৭৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেয়নি।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কাটগড়া ডাক্তার সাইফুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নকলের মহাউৎসব হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিটি পরীক্ষায় এ কেন্দ্রে শিক্ষকরা নকল সাপ্লাই দিচ্ছেন। এখানে কাটগড়া কলেজ ও কাটগড়া স্কুল দুটি ভেন্যুতে পরীক্ষা নেয়া হচ্ছে। দু’টি ভেন্যুতেই নকল দেয়া হয়। তবে, কাটগড়া স্কুল কেন্দ্রে প্রতিটি পরীক্ষায় নকল সাপ্লাই দেয়া হয়। এ কেন্দ্রে শনিবারের ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধাঘণ্টার মধ্যে প্রভাষক আমিরুল ইসলাম প্যাসেজের ৩০ নম্বরের উত্তর সব শিক্ষার্থীর কাছে পৌছে দেয়। এছাড়া এই শিক্ষক বাংলা প্রথমপত্রে ১১ টি নৈব্যক্তিক প্রশ্নের উত্তর ও বাংলা দ্বিতীয়পত্রে ৪০ নম্বরের ব্যাকরণের উত্তর রুমে রুমে পৌছে দেয়। শুধু এ বছর নয় প্রতি বছরই এখানে নকলের মহাউৎসব চলে।
উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) সমীর কুমার কুন্ডু জানান, ইংরেজি প্রথমপত্রে যশোর শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ১৮৫ জন। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ১৩০ জন। অনুপস্থিত ছিল ১ হাজার ৭৫৫ জন। বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে পাইকগাছা ৩৮৪ নং কেন্দ্রে ১জন, বাগেরহাটে ২৩০ নং কেন্দ্রে ১ জন, বেনাপোল ৩৫৪ নং কেন্দ্রে ২ জন, লাহুড়িয়া ৪১১ নং কেন্দ্রে ১ জন, মালেশিয়া ৩২৯ কেন্দ্রে ২ জন ও গাড়াগঞ্জ ৩৮৪ নং কেন্দ্রে ১ জন রয়েছে। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের মধ্যে খুলনায় ২৫৪, বাগেরহাটে ১০৩, সাতক্ষীরায় ১৯০, কুষ্টিয়ায় ১৯৯, চুয়াডাঙ্গায় ১৩৩, মেহেরপুরে ৭৬, যশোরে ৩১২, নড়াইলে ১১৪, ঝিনাইদহে ২৪১ ও মাগুরায় ১২৮ জন রয়েছে।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, কাটগড়া কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এ ধরণের অভিযোগ আছে। প্রমাণিত হলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :