লিহান লিমা: জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা ১০ এপ্রিল ৬টি সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বের কাছে ব্ল্যাক হোল বা কৃষগহ্বরের প্রথম ছবি প্রকাশ করবেন। জানা গিয়েছে, এই ব্ল্যাক হোলের ছবি এতদিন পর্যন্ত আমাদের ধারণার সম্পূর্ণ বিপরীত। এনডিটিভি
কৃষ্ণগহ্বরের ছবি তোলার কাজটি করেছে ইভেন্ট হরাইজ্ন টেলিস্কোপ (ইএইচটি)। যা বানানো হয় পৃথিবীর ৮টি মহাদেশে বসানো অত্যন্ত শক্তিশালী ৮টি রেডিও টেলিস্কোপের নেটওয়ার্ক দিয়ে। সেই রেডিও তরঙ্গের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে ব্ল্যাক হোলের ছবি তোলা। এই কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে।
পৃথিবী থেকে ২৬ হাজার আলোকবর্ষ দূরে ব্ল্যাক হোলের অবস্থান মিল্কি ওয়ে গ্যালাক্সির ঠিক মাঝখানে। এর ওজন সূর্যের ভরের ৪০ লাখ গুণ। দৈত্যাকৃতির এই ব্ল্যাক হোলের ব্যাসার্ধ ১ কোটি ২০ লাখ কিলোমিটার লম্বা। অত্যন্ত শক্তিশালী অভিকর্ষ বলের টানে সবকিছুকেই নিজের দিকে টেনে নিয়ে আসে ব্ল্যাক হোল। আর ব্ল্যাক হোলের মধ্যে বিলীন হয়ে যায় গ্রহ, তারকা, নক্ষত্রসহ সব ধরনের বস্তু।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির ব্ল্যাকহোল বিশেষজ্ঞ পল ম্যাকনামারা বলেন, ‘আজ থেকে ৫০ বছর আগে আমাদের ছায়াপথে ভীষণ উজ্জ্বল একটা বস্তুর সন্ধান পান বিজ্ঞানীরা। এর শক্তিশালী মহাকর্ষীয় টান নক্ষত্রগুলোকে নিজ কক্ষপথ কেন্দ্র করে খুব দ্রুতবেগে ঘুরতে বাধ্য করে, যে মাত্র ২০ বছরেই কক্ষপথ পাড়ি দেওয়া সম্ভব হয়।’ যেখানে মিল্কিওয়ের কেন্দ্রে কক্ষপথ পার হতে আমাদের সৌরম-লের সময় লাগে প্রায় ২৩০ মিলিয়ন বছর। পরে বিজ্ঞানিরা আবিষ্কার করেন, এই উজ্জল বস্তুগুলোই ব্ল্যাকহোল। ম্যাকনামারা বলেন, একে ‘পয়েন্ট অব নো রিটার্ন’ বা যেখান থেকে আর কোন কিছুই ফেরত আসতে পারে না।
আপনার মতামত লিখুন :