আব্দুস সালাম : শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অটোরিকশা-অটোটেম্পু পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন আয়োজিত সভায় গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের প্রতিবাদে বক্তারা বলেছেন, অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলে জনজীবনে ভয়াবহ নৈরাজ্য দেখা দেবে। বাসা-বাড়িতে যে পরিমাণ গ্যাস দেওয়া হচ্ছে বলে দেখানো হয়, বাস্তবে তার তিন ভাগের দুই ভাগ যায় দুর্নীতিতে। এমন তথ্য তুলে ধরে বক্তারা বলেন, গ্যাস খাতের দুর্নীতিবাজরা অনেক শক্তিশালী। তাদের ঠেকাতে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। তাই দাম বাড়ানোর বদলে গ্যাস খাতে দুর্নীতি কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এনটিভি
জাতীয় প্রেসক্লাবে বক্তারা বলেন, তিন মাসের ব্যবধানে গ্যাসের দাম যে হারে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে তার বাস্তবায়ন করা হলে শুধু পরিবহন খাতেই নয়, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, শিল্প পণ্যের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধিসহ জীবনযাত্রার সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল হক বলেন, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে চলছে জালিয়াতি, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, তছরূপ। আজকে পুরো গ্যাস সেক্টর দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে। এখানে চুরি হচ্ছে না, ডাকাতি হচ্ছে। এখানে দাঁড়িয়ে আমিও সাহস পাচ্ছি না। নেপথ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের নাম আমি জানি। কিন্তু আমি তা বলতে পারছি না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আপনারা গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করলে, আর কয়েক মাসের মধ্যে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে আসবে। এটা অনিবার্য কারণেই হবে। বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৭০ ভাগ গ্যাস ব্যবহৃত হয়। সুতরাং এটার সম্মিলিত ইফেক্ট পড়বে জনমানুষের জীবনে।
বিশিষ্ট কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এটাকে মূল্যবৃদ্ধি বলা যায় না। এটার নাম হলো ১৬ কোটি মানুষকে জরিমানা করা হয়েছে। বিনা অপরাধে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে সরকার যেটা করছে, সেটা জনগণকে জেলে নিচ্ছে না, কিন্তু জনগণকে জরিমানা করছে, প্রত্যেকটা মানুষকে জরিমানা করছে।
আপনার মতামত লিখুন :