মো. আল-আমিন : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে বৃষ্টি ও বৃষ্টি পরবর্তি খরার কারণে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া জনিত রোগে নষ্ট হয়ে সর্বসান্ত হওয়ার শংকায় চাষীরা। তবে এটাকে জলবায়ূ বির্পযয়ের প্রভাব হিসেবে দেখছে বিশ্লেষকরা। ভবিষ্যতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে চাষাবাদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা। যমুনা টিভি
চাষীরা জানান, বৃষ্টি ও খরায় নানা রোগে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফসল। আমাদের ফলনও কমে যাচ্ছে। আবার অতিরিক্ত লবনাক্ততায় শুকিয়ে যাচ্ছে পাতা। তরমুজের পাশাপাশি সবজি ক্ষেতও আক্রান্ত হচ্ছে। এই তরমুজ বিক্রি করে তেমন লাভ হবে না। লাভ না হলে কিস্তির টাকা শোধ করতে পারব না। আমরা সরকারের কাছ থেকে সাহায্য চাই।
তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বলেন, আমরা রোগের নমুনা সংগ্রহ করেছি। সেটা নিয়ে উচ্চতর গবেষণা করে কোন ভাইরাসটি এই রোগের জন্য দায়ি তা বের করছি। পরবর্তিতে কৃষকদের রোগের প্রতিষেধক দেয়া হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, এ বছর জেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে শুধু সুবর্ণচরেই হয়েছে ৯ হাজার ২ শত ৫০ হেক্টর জমিতে। প্রতি মৌসুমে ২০০ কোটি টাকার তরমুজ বিকিকিনি হয় এই অঞ্চলে।
আপনার মতামত লিখুন :