মো. মামুন : সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভোলার দৌলতখানে মৎস আড়ৎগুলোতে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। দন্ডনীয় অপরাধ জেনেও জাটকা বিক্রির দায় নিতে নারাজ আড়ৎদাররা, উল্টো তাদের অভিযোগ জেলেরা এসব জাটকা মাছ ধরছে বলেই তারা তা বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মাছঘাট গুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, জেলেরা মেঘনা থেকে জাটকা ইলিশ শিকার করে তীরে স্ব-স্ব মাছঘাটে নিয়ে আসে। এরপর আড়ৎ এর কর্মচারীরা এসব মাছতাদের আড়ৎ এ উঠিয়ে এনে ঘাটের বেপারিদের কাছে হাক-ডাক দিয়ে বিক্রি করছে।বেপারীরা ক্রয়কৃত অবৈধ জাটকা তাদের গোপন ঘরে রেখে রাতের আধাঁরে ঝুড়িতে করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাঠাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় উপজেলায় মোট ১০টি মাছঘাট রয়েছে। এসব মাছঘাটে নিষেধাজ্ঞার প্রথমে মাছ বিক্রি কিছুটা কম থাকলেও এখন আবার সরগরম হয়ে উঠেছে। প্রতিটি মাছঘাটে রয়েছে ২০-২৫ জন আড়ৎদার। প্রতি আড়ৎদারের রয়েছে ৩০-৪০টি মাছধরার দাদন ভুক্ত ইঞ্জিন চালিত নৌকা। এসব নৌকার জেলেরা আড়ৎদারের চাপের মুখে পড়ে নদীতে অবৈধ কারেন্ট, বাধা, বেড়, মশারী জাল দিয়ে প্রতিদিন কয়েক টন মাছ নিধন করছে।
এব্যাপারে দৌলতখান উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন’র ফোনে অংখ্যবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :