শিরোনাম
◈ বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের  উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ◈ নির্বাচনী মাঠ প্রস্তুত হচ্ছে, আস্থা রাখতে চায় দলগুলো ◈ বর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ, ভারতের চাপে অস্ট্রেলিয়া ◈ কপ২৯: ২০০ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দে ইইউর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ ◈ মামলা করলে ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার করে পাওয়া যাবে ◈ কলকাতার মেট্রোরেলে নারী যাত্রীকে বাংলা বাদ দিয়ে হিন্দিতে কথা বলা নিয়ে বাকবিতণ্ডা (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশসহ ১২৪ দেশে পা রাখলেই গ্রেফতার হবেন নেতানিয়াহু, দেশগুলো হল.. ◈ ‘বুক কাঁপে না  মিথ্যাচার করতে?’ ট্রলের জবাবে  উপস্থাপিকা দীপ্তি ◈ এবার পশ্চিমাদের ওপর হামলার ইঙ্গিত পুতিনের ◈ পাঁচটি দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা

প্রকাশিত : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০৮ দুপুর
আপডেট : ০৫ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিদেশি টিভি চ্যানেল বিজ্ঞাপনে খাতে নিয়ে যাচ্ছে সাতশ থেকে হাজার কোটি টাকা

জাবের হোসেন: প্রায় ৪০ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ভারতীয় জি নেটওয়ার্ক এবং তাদের সহযোগি পেইড টিভি চ্যানেলগুলো আবার বুধবার থেকে দেখা যাচ্ছে। ক্যাবল অপারেটর ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিমিটেড এবং দিগি জাদু ব্রডব্যান্ড লিঃ সোমবার জি নেটওার্কের সবগুলো টিভি চ্যানেল বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়। তথ্য মন্ত্রনালয়ের এক শোকজের ভিত্তিতে তারা সম্প্রচার বন্ধ করে। তথ্য মন্ত্রনালয় তাদের নির্দেশে বলে, বিদেশি পেইড চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানো যাবে না। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন

ক্যাবল টিভি নেটওয়ার্ক অপেরশন এ্যাক্ট ২০০৬ অনুযায় তথ্য মন্ত্রনালয় ১লা এপ্রিল থেকে পেইড বিদেশি চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধের নির্দেশ দেয়।

তথ্য মন্ত্রনালয়ের সহকারি সচিব ফিরোজ খান বলেন, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী বিদেশি চ্যানেল বাংলাদেশে চালাতে গেলে টিভি পরিবেশকদের অনুমতি বা এনওসি নিতে হবে। যদি উল্লেখিত বিদেশি চ্যানেল কোন বিজ্ঞাপন প্রচার করে তবে তা বিদ্যমান আইনের ১১ ধারা বলে বেআইনি। একই আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী আইন অমান্যকারীর দুই বছরের কারাদন্ড হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বিদেশি পেইড চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের ফলে স্থানিয় টিভি কেন্দ্রগুলো আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। বছরে এই ক্ষতির পরিমান ৭শত থেকে এক হাজার কোটি টাকা। ফলে বাংলাদেশের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে রক্ষায় সরকার স্থানিয় বিজ্ঞাপন বিদেশি চ্যানেলে সম্প্রচার বন্ধের সিদ্দান্ত নিয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, তারা বাংলাদেশে বিদেশি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করেন। তবে ক্যাবল অপরেটরদের শোকজের জবাব দিতে বলেছেন।

এদিকে বাংলাদেশ ক্যাবল অপারেটরস এসোসিয়শনের (কোয়াব)প্রতিষ্টাতা সভাপতি এস এম আনোয়ার পারভেজ বলেছেন, পেইড বিদেশি চ্যানেলগুলো বাংলাদেশে সম্প্রচার বন্ধ হলে বাংলাদেশের কোন দর্শক মাসে মাসে ৪-৫ শত টাকা দিতে রাজি হবেন না। কেননা বাংলাদেশের চ্যানেল দেখার জন্য কেউ টাকা দিতে রাজী নয়।

সূত্র মতে, ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিঃ বাংলাদেশে জি গ্রুপ, সনি গ্রুপ, ডিসকভারি গ্রুপ এবং কাটুন নেটওয়ার্কে ডিস্ট্রিবিউটার বা পরিবেশক। এদিকে যাদু ভিশন লিঃ স্টার ও কালারস গ্রুপের টিভি চ্যানেলগুলোর পরিবেশক। ন্যাশনওয়াইড মিডিয়া লিঃ পেইড চ্যানেলে বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণ বলতে সংবাদিকদের কাছে অস্বীকৃতি জানান।

এদিকে দিগি জাদু ব্রডব্যান্ড লিঃ এর এক কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ সরকারের চাহিদা সম্পর্কে তারা স্টার ও কালারস টিভি কর্তৃক্ষকে বিস্তারিত জানিয়েছেন। বাংলাদেশ টিভি চ্যানেলগুলোর দাবীর মুখে সরকার দেশীয় বিজ্ঞাপন পেইড চ্যানেলে বন্ধে আগ্রহী।

বাংলাদেশ টিভি চ্যানেল মালিক সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল বাবু বলেছেন, ভারতিয় চ্যানেলগুলো যদি তাদের বিজ্ঞাপন প্রচারে বাধাগ্রস্থ হয় তাহলে তারা বাংলাদেশে তারা আবার চালাবে কেন। তিনি বলেল, প্রতিটি গৃহস্থ অনুষ্ঠান দেখার জন্য অপরেটরকে মাসে মাসে টাকা দিয়ে থাকে। বিজ্ঞাপন দেখার জন্য নয়। তিনি বলেন,বাংলাদেশের চ্যানেলগুলো ইউরোপ আমেরিকায় প্রচারকালে এক সেকেন্ডের জন্যও বিজ্ঞাপনও দেখাতে পারেনা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়