রাশিদ রিয়াজ : ভারত ও আমিরাতের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পেলেন আমিরশাহির জায়েদ পদক। আবু ধাবির যুবরাজ মুহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান বৃহস্পতিবার তার টুইটে এই খবর দেন। এর আগে আমিরশাহির জায়েদ মেডেল পেয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, প্রাক্তন ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল, ব্রিটেনের দ্বিতীয় রানি এলিজাবেথ ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনফিং।
টুইটে আবু ধাবির যুবরাজ মহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান লিখেছেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। আর সেই সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ। সেই সম্পর্কটাকেই আমার প্রিয় বন্ধু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আরও শক্তিশালী করে তুলেছেন। তাকে একটি অন্য মাত্রা দিয়েছেন। তারই স্বীকৃতি হিসেবে আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট ওঁকে এ বার জায়েদ মেডেল দিয়েছেন।’’
আবু ধাবির যুবরাজের সেই টুইটের জবাব টুইটেই দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ‘চৌকিদার নরেন্দ্র মোদী’ তাঁর টুইটে লিখেছেন,‘প্রিয় মুহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আমি এই সম্মান গ্রহণ করছি। মুহম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, আপনার বহুদর্শী নেতৃত্ব দু’দেশের সম্পর্ককে একটি অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এই সম্পর্ক দু’টি দেশের মানুষই শুধু নয়, বিশ্ববাসীর জন্যই শান্তি ও সমৃদ্ধির বার্তা বহন করেছে।’
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোদী প্রথম আমিরশাহিতে যান ২০১৫-য়। তার পর ২০১৬ এবং ২০১৭-য় ভারতে এসেছিলেন আমিরশহির যুবরাজ। ২০১৭-র প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি ছিলেন আমিরশাহির যুবরাজই। গত বছর ফের আবু ধাবিতে যান প্রধানমন্ত্রী মোদী।
ভারত যে পরিমাণ অপরিশোধিত তেল আমদানি করে, তার ৮ শতাংশই আসে আমিরশাহি থেকে। ২০১৭ সালেই ভারত ও আমিরশাহির দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ হাজার কোটি ডলার।
এ দিন মোদীর পুরস্কার প্রাপ্তির খবরে অভিনন্দন জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ-সহ বহু মন্ত্রী, নেতা। আরব বিজনেস
আপনার মতামত লিখুন :