আরিফ জেবতিক : সিলেট-২ আসনে আওয়ামী লীগের দুটি গ্রুপই শক্তিশালী এবং একেবারে উঁচু মহলে তাদের প্রভাব আছে। দুটো গ্রুপই ‘আমারে নমিনেশন না দিলেও ওই গ্রুপে দেয়া যাবে না’- এরকম কঠোর অবস্থানে থাকে। তাই এই আসনটি আওয়ামী লীগ ব্যালেন্স করা শুরু করেছে। তারা নিজেদের প্রার্থী না দিয়ে এটা জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়, এতে করে দুই গ্রুপই শান্ত থাকে। অন্যদিকে এই আসনে বিএনপি গড়ে উঠেছিলো ইলিয়াস আলীর একক চেষ্টায়।
সুতরাং ইলিয়াস আলী এবং তার পরিবারের প্রতি দুর্বল মানুষের এখানে অভাব নেই। একদিকে আওয়ামী লীগের নিষ্ক্রিয়তা অন্যদিকে ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ইমোশন-এই দুই সুযোগে এখানে মোকাব্বির খান একেবারেই ঘটনাচক্রের এমপি। সত্যিকারের নির্বাচন হলে মোকাব্বির এখানে দুইশ ভোট পেতেন কী না আমার সন্দেহ আছে।
সুতরাং পড়ে পাওয়া এই চৌদ্দ আনায় মোকাব্বির খান এমপি হিসেবে শপথ নিয়ে নিজেরটা ভালোই বুঝেছেন। ৫ বছর সুযোগ সুবিধা আর নানাবিধ ভাতা, ভিআইপি মর্যাদা, রাজউকের গ্যারান্টিড প্লট, করমুক্ত গাড়ি এসব তিনি একেবারেই ফাও পাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, সেটা বাদ দেয়া বুদ্ধিমানের কাজ হতো না।
দিন শেষে পলিটিক্স সবাই নিজের স্বার্থের জন্যই করেন, মোকাব্বির কেন হুদা স্বার্থ বলি দেবেন? তিনি তো জীবনে এর চাইতে ভালো সুযোগ আর পাবেন না। আগামীর কোনো নির্বাচনেই তার কোনো সুযোগ নেই। ওয়ানটাইম সুযোগটা কাজে লাগানোই তাই বুদ্ধিমানের কাজ হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :