ইউসুফ আলী বাচ্চু : স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণের দাবি জানিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি।
বুধবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে সমিতির সভাপতি মাওলানা হাফেজ ফয়েজুর রহমান বলেন, ২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬ দিন শিক্ষকরা অবস্থান কর্মসূচি থেকে অনশন পালন করে। শিক্ষা সচিব প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকদের দাবি পূরণে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ায় শিক্ষকরা হতাশ। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসার জন্য অনতিবিলম্বে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করা হোক।
তিনি বলেন, ১৯৯৪ সালে এক পরিপত্রের মাধ্যমে রেজিস্ট্রার বেসরকারি প্রাইমারি ও স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের বেতন ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে বিগত সরকারের সময়ে ধাপে ধাপে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি মহাজোট সরকার একযোগে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করলেও ইবতেদায়ী মাদ্রাসাকে জাতীয়করণ করেনি। ফলে মাস শেষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেলেও ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা তেমন কোনো বেতন পান না। এমতাবস্থায় ইবতেদায়ী শিক্ষকেরা মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব মাদরাসাগুলো জাতীয়করণ করে শিক্ষক পরিবারের হাসি ফুটানোর জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।
মানববন্ধন থেকে কয়েকটি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হলো-প্রাইমারির ন্যায় মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ, কোড বিহীন মাদ্রাসাগুলোকে মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃক কোড নাম্বার এ অন্তর্ভুক্তকরণ, প্রাইমারির ন্যায় প্রতিটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার অফিস সহায়ক নিয়োগ প্রদান, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের পিটিআই ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, প্রাইমারির ন্যায় স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাগুলোর স্থায়ী রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থা করণ।
মানববন্ধনে সমিতির মহাসচিব কাজী মোখলেছুর রহমান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মো. তৌহিদুল ইসলাম, শিক্ষক মিজানুর রহমান, আলাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।