ফাহিম বিজয় : অটিস্টিকদের সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনতে দেশে সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এ শিশুদের কর্মক্ষম করে তুলতে দেয়া হচ্ছে প্রযুক্তি ও প্রায়োগিক শিক্ষা। এদিকে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, অটিজমের মাত্রা কমাতে পরিবেশগত নেতিবাচক প্রভাব থেকে আক্রান্তদের দূরে রাখতে হবে। সময় টিভি
অটিস্টিকদের মন ও মননের দিকে তীক্ষ্মভাবে নজর দিলে সমাজের মূলধারায় ফিরিয়ে আনা যায়। এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে অটিস্টিকদের কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করতে কাজ করছে হাতে গোনা কয়েকটি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এমনই একজন অটিস্টিক সুস্মি। নাচ, গান আর অভিনয়ে সমানভাবে পারদর্শী সে। পড়াশোনায় অমনোযোগী হওয়ায় শিক্ষকরা তার ভেতরে সুপ্ত প্রতিভাকে আলোর সামনে এনেছেন কৌশলে। তাই সে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে দেশের বাইরেও ।
তবে চিকিৎসকরা বলছেন, অটিজম জিনগত সমস্যা হলেও পরিবেশগত কারণে এর প্রকোপ বেড়ে যায় ব্যাপকভাবে। বিএসএমএমইউ’ এর শিশু নিউরোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গোপেন কুমার কুন্ডু বলেন, আমাদের আশেপাশের কৃত্রিম জিনিসগুলো শিশুদের অটিজমের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তবে আধুনিক পৃথিবীর উপযোগী করে গড়তে সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বোত্তম সমাধান বলে মনে করছে সরকার।
বিএসএমএমইউ এর ইপনা প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহীন আখতার বলেন, তাদের পক্ষে সহায়ক প্রযুক্তি সরবরাহ করতে হবে। যাতে ব্যবহার করা সহজ হয় হবে। অটিজমের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পায় ২ বছরের মধ্যে আর ৩ বছর পূর্ণ হবার আগেই তা প্রকাশ পায় সম্পূর্ণভাবে। তবে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত , শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের প্রথম অবস্থায় অটিজম নির্ণয় করা গেলে চিকিৎসার মাধ্যমে অনেকাংশে তা কমানো সম্ভব।
আপনার মতামত লিখুন :