হ্যাপি আক্তার : বাংলাদেশ ব্যাংককের সাবেক ডেপুটি গর্ভনর ও অর্থনীতি বিশ্লেষক খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, ব্যাংকের মালিকরা ভিন্ন প্রকৃতির ব্যবসায়ী, তারা নিজের লাভটা খুব ভালো বোঝেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদেরকে যে কয়টি সুবিধা দিয়েছেন এর মধ্যে কয়েকটি অনৈতিক, যা দেয়া উচিত হয়নি। ব্যাংকের মালিকানা পরিবারের হাতে তুলে দেয়া নৈতিকতার বিরোধী এবং সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। সোমবার রাতে এটিএন নিউজের ‘নিউজ আওয়ার এক্সট্রা’ টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সংবিধানে সমাজতন্ত্র কথার অর্থ হলো কল্যাণকর অর্থনীতি। বঙ্গবন্ধু যেখানে বলেছিলেন বৈষম্যহীন। সেখানে আজ বৈষম্য তৈরি করা হলো। টাকা-পয়সা সব ব্যাংকের মালিকরা পাবেন। তাদের কাছ থেকে নৈতিক আচরণ আশা করা যায় না। প্রধামন্ত্রী যে কষ্ট পেয়েছেন, এটি খুব স্বাভাবিক।
তিনি আরো বলেন, একদিনের বিজ্ঞপ্তিতে কয়েকটি ব্যাংক মালিকরা সিঙ্গেল ডিজিটে নামিয়ে আনলেও বাকি সব ব্যাংক তা করলো না। ব্যাংক মালিকদের প্রায় সকলেরই লোন আছে। নিজের ব্যাংক থেকে নিতে পারে না বলে অন্য ব্যাংক থেকে নেন। মালিকরা যে লোন নিয়েছেন তার পরিমাণ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা। তারা রীতিমতো ঘাড় ধরে লোনগুলোকে ৯% নিয়ে আসেছেন। এই বিশাল টাকার ঋণ ৯% নামিয়ে আনলেও অন্যদের কথা আসলে পরিচালকরা রাজি হলেন না। অর্থমন্ত্রীর উচিত ছিলো এই বিষয়গুলো প্রকাশ করে দেয়া। সম্পাদনা : জামাল