জিয়ারুল হক, নাঈম কামাল : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে আইনগত সহায়তা প্রদানকারী ব্যারিস্টার টবি ক্যাডম্যান এখন ভারত সরকারের পক্ষ হয়ে লন্ডনে একটি মামলা লড়ছেন। ভারতের জুয়েলারী ব্যবসায়ী নিরব মোদীর জামিনের বিরোধীতায় ভারত সরকারের হয়ে লড়ছেন তিনি। ব্যাংকের কয়েক হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে লন্ডনে ১৯ মার্চ নিরব মোদী গ্রেফতার হন। ঢাকা ট্রিবিউন
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর লবিষ্ট ও আইনজীবী ব্যারিস্টার টবি ক্যাডম্যানের ভারত সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করার বিষয়টি কৌতুহলোদ্দীপক এবং অভাবিত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ব্যপারে ভারত সরকারের মনোভাব অনুকূলতো নয়ই বরং এর বিপরীত। আইনগত লড়াইয়ে জামায়াতের আইনজীবী হিসেবে খ্যাত টবি কিভাবে ভারত সরকারের পক্ষ নিয়ে জামিনের মামলা লড়ছেন এ নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২৯ মার্চ নিরব মোদীর জামিনের বিরুদ্ধে টবি যুক্তি উপস্থাপন করেন। নিরব মোদীর জামিন অবশ্য এই দফায় হয়নি।
২০১১ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী টবি ক্যাডম্যনকে তাদের আইনজীবী নিয়োগ করে। আওয়ামী লীগ শীর্ষ যুদ্ধপরাধীদের বিচারের তোড়জোড় করলে ব্যারিস্টার টবিকে জামায়াত নিয়োগ দেয়। ব্যারিস্টার টবি তখন নাইন ফোর্ড রো নামের এক লংফার্মে কাজ করতেন। তিনি আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ।
পরবর্তীতে টবি আলজাজিরা, বিবিসি, সিএনএনে বেশ কিছু সাক্ষাৎকার দেন এবং সে সময়ে জামায়াত ইসলামীর রাজনৈতিক আদর্শের প্রশংসা করে বক্তব্য দেন। তিনি বহু ব্লগ সেমিনারে জামায়াতের পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেন। একই সঙ্গে বহু ব্লগে তিনি যুদ্ধপরাধীদের বিচারের সমালোচনা করেন। বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালকে ক্যাঙ্গারু কোর্ট বলে তিনি অভিহিত করেন। জামায়েতের শীর্ষ নেতাদের পক্ষাবলম্বনের জন্য তিনি ঢাকায় আসতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশী আইনজীবীর ঢাকায় আসা ঠেকিয়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের এক কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাজ্যের ক্রাউন প্রশিকিউশন সার্ভিস নিরব মোদীর মামলায় টবিকে নিযুক্তির পরামর্শ দিয়েছেন। এখানে ভারত সরকারের কিছু করার নেই। সিবিআইসহ দুটি সংস্থার বহু লোককে যুক্তরাজ্যে পাঠালেও টবির ব্যাপারে তাদের কোন আপত্তি নেই বলেই মনে হচ্ছে।
ভারত বহু ক্ষেত্রে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। ভারত সরকারের পক্ষ হয়ে টবির আইনি লড়াই তাই কুটনৈতিক মহলে ব্যাপক বিস্ময়ের সৃষ্টি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :