শরীফা খাতুন শিউলী, খুলনা প্রতিনিধি : খুলনা-যশোর অঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ৯দফা দাবিতে লাল পতাকাসহ লাঠি মিছিল করেছেন। মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া মজুরিসহ ৯ দফা দাবিতে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ পাটকলের শ্রমিকরা সকাল ৯টায় মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে লাল পতাকা ও লাঠি হাতে মিল গেটে সমবেত হন। পরে তারা স্ব স্ব মিল থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিআইডিসি রোড হয়ে নতুন রাস্তা, দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ড হয়ে আবারও মিল গেটে ফিরে মিছিল শেষ করেন।
রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদ খুলনা ও যশোর অঞ্চল এবং বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে সব পর্যায়ের শ্রমিকরা মিলের উৎপাদন বন্ধ রেখে অংশ নেন।
আন্দোলনরতরা বলেন, সরকারঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ গ্র্যাচুইটি ও মৃত শ্রমিকের বিমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করাসহ ৯দফা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিলো। কিন্তু আমাদের দাবিগুলো এখনও বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে আবার নামতে বাধ্য হয়েছি।
লাঠি মিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পাটকল শ্রমীক লীগ সিবিএ-ননসিবিএ পরিষদের আহ্বায়ক সরদার মোতাহার উদ্দিন, পরিষদের নেতা মুরাদ হোসেন, সোহরাব হোসেন, কওছার আলী মৃধা, শাহানা শার মিন, জাকির হোসেন সহ নেতারা বক্তৃতা করেন।
বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহ্বায়ক ও ক্রিসেন্ট জুট মিলের সিবিএ সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, মজুরি কমিশন বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। এছাড়া ৬/৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া থাকায় শ্রমিকরা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অর্ধহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। ফলে বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :