আমিনুর বাদশাহ : স্যাকারিন, ল্যাকটোজ ও ক্ষতিকর ক্যেমিকেল দিয়ে বানানো টেস্টি স্যালাইন বাজারে ছাড়া হয়েছে। এসব স্যালাইন ক্ষতিকর ক্যেমিকেল দিয়ে তৈরি হচ্ছে। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী একাধিকবার অভিযান চালিয়ে এসব নকল স্যালাইন কোম্পানীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও কোন কাজ হচ্ছেনা।
এসব স্যালাইন খেয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার শিকার হচ্ছে সাধারন মানুষ। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার হাটবাজার, পাড়া-মহল্লার ওষুধের ফার্মেসী থেকে শুরু করে চা, পান ও মুদি দোকানে পাওয়া যচ্ছে ক্ষতিকর এসব টেস্টি স্যালাইন।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বাজারে প্রচলিত বৈধ ওরাল স্যালাইন, সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, ট্রাইসোডিয়াম, সাইট্রেট, ডাইহাইড্রেড, গ্লুকোজ ও এনহাইড্রোজ নামক উপাদান দিয়ে প্রস্তুত হয়। এটা সেবন করলে ডায়েরিয়া জানিত পানি শুন্যতা, শরীরে পানি সল্পতা জানিত অবসাদ ও ক্লান্তি দুর করে।
ক্ষতিকর টেস্টি স্যালাইন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে কতিপয় ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ কোম্পানী কর্র্তৃপক্ষ, এর মধ্যে ইউনিভার্সাল ফার্মাসিউটিক্যালস, সোলার ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্রেণ প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস, সৃজন ফার্মাসিউটিক্যালস ও হামিম ইউনানী সহ বেস কিছু কোম্পানী ওরাল স্যালাইন ও টেস্টি স্যালাইন উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন জানান, খাবার স্যালাইন উৎপাদন ও বাজারজাত করতে হলে ওষুধ প্রশাসন হতে নন-বায়োলজিক্যাল লাইসেন্স নিতে হবে। টেস্টি স্যালাইন নামে কোন ওরাল স্যালাইনের অনুমোদন ওষুধ প্রশাসন হতে দেওয়া হয়নি। বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর ফার্মা গ্রেডের স্যালাইন আছে যা ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া (বি,পি) এবং ইউনাইটেড এস্টেটস ফার্মাকোপিয়া (ইউ,এস,পি) অনুসারে প্রস্তুত। তবে স্যাকারিন, ল্যাকটোজ ও ক্ষতিকর ক্যেমিকেল দিয়ে তৈরি টেস্টি স্যালাইন বাজারজাত করা হচ্ছে কি না তা তিনি জানেন না। এধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া গেলে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ব্যাবস্থা নিবে বলে জানান তিনি।
এদিকে বিএসটিআইয়ের উপ-পরিচালক (সি.এম) রিয়াজুল হক জানান, টেস্টি স্যালাইন নামে কোন পন্যের অনুমোদন দেওয়া হযনি। বিএসটিআই সফ্ট ড্রিংস পাওডার নামে ফুড গ্রেডের পন্যের অনুমোদন দিয়েছে। তবে বিএসটিআইয়ের চিহ্ন ব্যাবহার করে কোন কোম্পানী যদি ক্ষতিকর টেস্টি স্যালাইন উৎপাদন ও বাজারজাত করে এমন অভিযোগ পেলে আমরা ব্যাবস্থা নিব।