মারুফুল আলম : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীসহ নেতা-মন্ত্রীদের মুখে উন্নয়নের মহাসড়কের বুলি শুনতে শুনতে সাধারণ মানুষ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। ২২তলা ভবনে আগুন নেভানোর সরঞ্জাম নেই অথচ দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলছে বলে চাপাবাজি চলছে। আসলে দুর্নীতির মহাসড়কেই সরকার হাঁটছে বলে সাধারণ মানুষের এতো লাশের স্তূপ।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় এফআর টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ২৫ জনের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে হতাহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান রিজভী।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সংগ্রামকে দমন করতে সরকার আধুনিক মারণাস্ত্র নিয়ে আসলেও আগুন নেভাতে আর মানুষ উদ্ধারে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আগুন নেভাতে উন্নত প্রযুক্তির বদলে রয়েছে মান্ধাতার আমলের মই।
রিজভী বলেন, হেলিকপ্টারে হাতিরঝিল থেকে পানি নিয়ে বিল্ডিংয়ের আগুন নেভাতে গিয়ে সেই বালতির সমস্ত পানি ফুটো তলানি দিয়ে ঝরে গেছে। অথচ উন্নত দেশে আগুন নেভাতে এবং মানুষ উদ্ধারে কত আধুনিক সরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনা দেখতে পাওয়া যায়। আগেও অসংখ্য মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার পরও বর্তমান শাসকগোষ্ঠী ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক যন্ত্রপাতিতে উন্নত করেনি।
রিজভী আরও বলেন, মানুষ হত্যার জন্য ব্যয়বহুল আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনা হয়েছে কিন্তু মানুষ বাঁচানোর জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতির কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। যে সরকার দাবি করে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠিয়ে মহাকাশ জয় করেছে, অথচ মানুষ বাঁচানোর জন্য সেই সরকারের কোনো আগ্রহ নেই। যারা মধ্যরাতে ভোট ডাকাতি করে তারা গণবিরোধীই হয়। সেজন্য মানুষ বাঁচাতে তারা কোনো দায়বোধ করে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে বলতে চাই, এ মুহূর্তে খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে রাজপথ শূন্য ও আওয়াজহীন থাকবে না। অধিকার বঞ্চিত মানুষ প্রতিরোধ-প্রতিশোধের জন্য এখন ফুঁসছে। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে যাবে এবং জনতার ঢল ধেয়ে গিয়ে উল্টে দেবে ক্ষমতাসীনদের সিংহাসন। জাগো নিউজ।
আপনার মতামত লিখুন :