মঈন মোশাররফ : স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন শনিবার ডয়চে ভেলেকে বলেন, হাতিরঝিলে বিজিএমইএ ভবনের উদ্বোধন করেছেন দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী। অথচ ভবনটি ছিলো অবৈধ। এই অবৈধ ভবন নির্মাণ এবং তা উদ্বোধনে দুই প্রধানমন্ত্রীকে যারা নিয়ে এসেছেন তারা কারা? দেশের সর্বোচ্চ আদালত ভবনটি অবৈধ ও ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিলেও তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বনানীর এই ভবনটি অনুমোদন ছাড়াই ১৯ তলা থেকে ২২ তলা করা হলো। ফায়ার সিস্টেম নেই। এটা এখন বলা হচ্ছে কেন? যাদের এটা দেখার কথা তারা দেখেননি কেন? তাদের কী শাস্তি হবে? ভবন তো আর গোপনে নির্মাণ করা যায়না। এটা প্রকাশ্যেই হয়। এটা সমঝোতার মাধ্যমেই হয়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা শহর একটি বোমার উপরে বসে আছে। আগুনেই এই দুরাবস্থা। আর যদি ৬ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হয় তাহলে এখানকার গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইন বিপর্যয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। অধিকাংশ ভবনই দাঁড়িয়ে থাকতে পারবে না । সবই বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। ভবিষ্যতে কী করবো তার চেয়ে জরুরি, অনিয়ম গুলো চিহ্নিত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা। তাহলে ভবিষ্যৎ এমনিতেই ভালো হয়ে ওঠবে।
আপনার মতামত লিখুন :