ফাতেমা ইসলাম : নারী জাতির জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং যুগান্তকারী ঘটনা হওয়ার কথা ছিলো, কিন্তু মহাশূন্যে কেবলমাত্র নারী নভোচারীদের স্পেস ওয়াক মহাশূন্যে হাঁটার ব্যাপারটা বাদ দিতে হলো। কারণ তাদের শরীরে ফিট করবে এমন স্পেসস্যুট নাকি স্পেস স্টেশনে যথেষ্ট সংখ্যায় ছিলো না। এখন এই নারী নভোচারীদের সঙ্গে তাই যোগ দেবে এক পুরুষ নভোচারী। শুধু স্পেস স্যুট নয়, বিশ্বের আরও অনেক কিছুই আসলে পুরুষদের কথা মাথায় রেখেই ডিজাইন করা। বিবিসি
এয়ারকন্ডিশনিং ব্যবস্থাও পুরুষদের জন্যই করা। একই তাপমাত্রায় পুরুষদের তুলনায় মেয়েরা বেশি ঠান্ডা বোধ করে। অফিসের আদর্শ তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত তা ১৯৬০ এর দশকে ঠিক করা হয়। গড়পড়তা পুরুষের শরীরের ‘মেটাবেলিক রেস্টিং রেট’ বিবেচনায় নিয়ে এরপর সেভাবেই এই ব্যবস্থা চলছে, বদলায়নি কিছু।
পুরুষের চেয়ে নারীর হাতের আকার ছোট কিন্তু স্মার্ট ফোনের সাইজ কিন্তুবড় হয়েই চলেছে। একজন গড়পড়তা নারীর পক্ষে এক হাতে কোন স্মার্ট ফোন ব্যবহার কঠিন, কিন্তু পুরুষের তা নয়। এমনকি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ উঠেছে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে ব্যবহৃত তথ্যের ক্ষেত্রেও রয়েছে পক্ষপাত। কারণ এটি ত্রুটিপূর্ণ এলগরিদম ব্যবহার করতে পারে। যেমন ডাক্তার বললেই পুরুষ এবং নার্স বললেই নারী বলে ধরে নিতে পারে। এর একটা কারণ, সব ক্ষেত্রেই নারীর প্রতিনিধিত্ব কম। নারীর চেয়ে পুরুষের গাড়ি দুর্ঘটনায় শিকার হওয়ার আশংকা হয়ত বেশি, কিন্তু গুরুতর আহত হওয়ার আশংকা নারীর ক্ষেত্রে ৪৭ শতাংশ বেশি। এর কারণ যে ডামি ব্যবহার করে গাড়িকে নিরাপদ করা হয়েছে, সেটি পুরুষের। কাজেই আর সব জিনিসের মত গাড়ির ও ডিজাইন করা হয়েছে পুরুষের কথা ভেবে।
আপনার মতামত লিখুন :