ফাতেমা ইসলাম : আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বুধবার ডিবিসি টিভির রাজকাহন অনুষ্ঠানে বলেন, বাকশাল প্রসঙ্গে প্রধান মন্ত্রী একাধিকবার বলার কারণ হলো বিএনপির প্রায়সই দেশ একদলীয় শাসন তথা বাকশাল কায়েমের দিকে যাচ্ছে অভিযোগ করেছে। বাকশালের যে সুফল বঙ্গবন্ধু সমগ্র দেশে চালু করতে চেয়েছিলেন, যেটা ষড়যন্ত্রকারিরা তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে অবসান ঘটাতে চেয়েছিলো। তাকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাকশালের সুফল দেশের মানুষ পায়নি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা বাকশাল সম্পর্কে বিএনপি জামায়াতের অপতথ্যের বিরুদ্ধে দেশবাসিকে সচেতন করার জন্য বাকশাল গঠন সম্পর্কে বলেছেন। বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা বাঙালীত্বে বিশ্বাস করে না, তারা কিন্তু এখনো এই শাসন ব্যবস্থা নিয়ে কুন্ঠিত। সেই অবস্থায় জাতির জনক নিহত হলে সেই ঘটনা তাদের এই শক্তিকে অনুপ্রানিত করেছে।
তিনি আরোও বলেন, বাস্তবতা হলো বিএনপির নেতারা ভুলে গেছেন তাদের পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া বাকশালের সদস্য হওয়ার জন্য বঙ্গবন্ধুর কাছে আবেদন করেছিলেন। বিএনপির নেতারা সে কথা ভুলে এখন দেশ বাকশাল হয়ে গেছে বলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করছেন। বিএনপি জনগনের মাঝে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে দেশ বাকশাল হয়ে গেছে। তখন জাসদ প্রেক্ষাপট সৃষ্টি করেছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। সে সময় নির্বাচনে সব দলই অংশ গ্রহন করেছে।
তিনি বলেন, ঐক্যফ্রন্ট, মহাজোটের নেতারা আন্দোলন করেছেন, বক্তব্য দিয়েছেন। এই আন্দোলন বলতে ইলেকশনের মাধ্যমে আমাদের সরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। এটা একবার নয় একাধিকবার করেছেন। তবে মিডিয়া থেকে তাদের অনেক বার প্রশ্ন করা হয়েছে কিন্তু তারা বলতে পারেননি কে হবেন ঐক্যফ্রন্ট নেতা।