মুক্তাশ্রী চাকমা সাথী
ইয়ে মানে, আলী কদমের চেয়ারম্যান নিয়া এতো মাতামাতি করার কি আছে! শালা ছবি দিয়া ফাইসা গেসে। আপনি কিন্তু তার চেয়েও বেশি ভয়ংকর। পাহাড়ে বেড়াইতে গেলে ‘পাহাড়ি মাল’ খুঁজেন কিন্তু ছবিতে ধরা পড়েন না। পাহাড়ের মেয়ে স্নান করতাসে, নিচু হইয়া কাজ করতাসে বুকের ভাঁজ দেখাইয়া অথবা এমনিতেই যখন আপনার পাশ দিয়া হাঁইটা স্কুল, কলেজ বা কাজে যায় তখন আপনে চোখ দিয়া চাটেন না? মুখ দিয়ে রসালো সাউন্ড করেন না? অনুমতি না নিয়া ছবি তুলেন না? পাহাড়ে গেলে আপসারআপ পাহাড়ি মেয়েরা ধমাধম আপনার প্রেমে পড়বে এই ফ্যান্টাসি করেন না? আপনি আপনার বন্ধুরে বলেন নাÑএকটা পাহাড়ি মেয়ে জোগাড় কইরা দিতে? পাহাড়ি পণ্যের দোকানে যাইয়া বিক্রয়কর্মী হিসেবে যে মেয়ে কাজ করে তার হাত ধরার চেষ্টা করেন না? তার সঙ্গে সে পাহাড়ি বইলা একটু ফষ্টিনষ্টি করতে চেষ্টা করেন না ?
আলী কদমের চেয়ারম্যানের চেহারা তবু সামনে আসে। আপনার চেহারা ‘প্রগতিশীলতা/বন্ধু হিসাবে ঠাট্টা করলাম রাগ করিস ক্যান/টুরিজম/ফটোগ্রাফির’ নামে সামনে আসে না। আপনি আর আলী কদমের চেয়ারম্যান দুই-ই ইতর ও ইতরের দল।
নির্বাচিত মন্তব্য : ইধষসর ঈযরংরস ঞড়ৎধ- যা লিখলা সাজেকে গিয়া ঠিক সেটাই দেখছিলাম। দুটা ট্যুরিস্ট ছেলে কফি দোকানের মেয়েদের হাত ধরতে চেষ্টা করায় মেয়েরা হাত সরায়ে নিচ্ছিলো। তারপরেও জোরাজুরি করায় ছেলে দুইটারে চিল্লাইয়ে গালাগালি দিসিলাম। আমার প্রতিবাদে ওরা ভয়ে সরে গেসিলো। প্রবীর কুমার সরকার- একদম খাঁটি কথা। ঢাকার পার্বত্য মেলায় দর্শকদের একটা বড় অংশ যায় স্টলে থাকা মেয়েদের দেখতে, ছুঁতে বা হয়রানি করতে। এ বছরেও তাই দেখলাম। একটা নামকরা খাবারের স্টলে খেতে গিয়ে এ ধরনের কয়েকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে দিয়েছি। তারা নানা রকম সিলি প্রশ্ন করছিলো, আর সব কথাতেই টিপ্পনি কাটার চেষ্টা ছিলো। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :