শিরোনাম
◈ বিনিয়োগ সম্প্রসারণে আরব আমিরাতকে পাশে চায় ঢাকা চেম্বার ◈ দিনমজুরের সন্তান অয়ন্ত বালা বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলে সুযোগ পেলো ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকার ১৯টি খাল সংস্কার করা হবে: উপদেষ্টা ◈ ভারতের প্রতি বাংলাদেশের শত্রুতাপূর্ণ আচরণ দেখতে চাই না : জয়শঙ্কর ◈ ২২ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ২৩ হাজার কোটি টাকা ◈ জাতিসংঘের প্রতিবেদন হাসিনার আন্তর্জাতিক বৈধতাকে আরো দুর্বল করবে ◈ যে কারণে খুঁটির সঙ্গে বাঁধা হয় হুমায়ূন আহমেদের প্ল্যাকার্ড! ◈ ছাত্রদলের মধ্যে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রতিচ্ছবি দেখছেন শিবির সভাপতি (ভিডিও) ◈ এক ওভারে ১১ বল, শামির লজ্জার রেকর্ড, শীর্ষে বাংলাদেশের হাবিবুল বাশার ◈ কেনো অন্য দলের খেলায় ভারতের জাতীয় সংগীত বাজলো, পাকিস্তান ব্যাখা চাইলো আইসিসির কাছে

প্রকাশিত : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫৪ রাত
আপডেট : ২৭ মার্চ, ২০১৯, ০৩:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শাহনাজ রহমতউল্লাহ : এক দেশপ্রেমী স্বর্গীয় জাতীয় কন্ঠী!

মোহাম্মদ আলী বোখারী, টরন্টো থেকে : সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অর্থাৎ ফেসবুক ও টুইটারে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও বিশ্বের নানা প্রান্তের অনুরাগীরা তাকে ‘স্বর্গীয়কন্ঠী’ ও ‘জাতীয়কণ্ঠী’ পুরোধায় অভিহিত করেছেন, যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা ও গণচীনের সিজিটিএন-এ প্রতিফলিত।ড় বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া তার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উপরন্তু বান্ধবী বিয়োগে খালেদা জিয়া হয়েছেন অশ্রুসিক্ত। এমনই বিমোহিত কন্ঠের অধিকারী, যার নিরবিচ্ছিন্ন পদচারণা পাঁচ দশকে দক্ষিণ এশিয়ায় তাকে সমুজ্জ্বল ও সন্মানিত করেছে; তিনি আর কেউ নন, বরং শাহনাজ রহমতউল্লাহ। ৬৭ বছর বয়সে রাজধানীর বারিধারায় তার প্রয়াণ ঘটেছে এবং বিদায়কালে রেখে গেছেন স্বামী, এক পুত্র ও এক কন্যা।

পাঁচ দশকের পেশাগত জীবনের বিস্তৃতিতে তিনি নানা আবহের গান, বিশেষত দেশাত্মবোধক গান গেয়ে প্রায় ৭ বছর আগে অবসরে যান। ষাটের দশকে মাত্র ১০ বছর বয়সে বড় ভাই প্রয়াত জাফর ইকবালের সঙ্গে ঢাকার সঙ্গীত জগতে তথা রেডিওতে গান গেয়ে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে।
আমরা কখনোই ভুলতে পারবো না, এই অগ্নিঝরা মার্চ মাসেই তদানীন্তন পশ্চিম পাকিস্তানের নাগপাশ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ইতিহাসে আজকের বাংলাদেশই ছিল পূর্ব পাকিস্তান, যাকে পূর্ব বাংলাও বলা হতো। ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে উভয় পক্ষ যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে এবং নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিচ্ছিন্ন পূর্ব পাকিস্তানই স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়। আর সে সময়কালেই শাহনাজের দেশাত্মবোধক গান অপরাপর গানের মাঝে হয়ে উঠে আমাদের প্রভূত প্রেরণার উৎস।

তার সে গানের স্বীকৃতিতে শাহনাজ রহমতউল্লাহ ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সন্মান একুশে পদকে ভূষিত হন। এর আগে পান নারীকন্ঠী হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (১৯৯০), বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার। এরপর ২০০৬ সালে বিবিসি’র সর্বকালের ২০ সেরা বাংলা গানের তালিকায় তার চারটি গান স্থান পায়।

তার ওই প্রয়াণে যে দেশাত্মবোধক গানগুলো আমাদের ঐক্যতানে চির জাগরুক, যেমন- মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে... বলবো বাংলাদেশ’, ‘এক তাঁরা তুই দেশের কথা’, ‘একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট গাঁয়’ এবং ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে ভরে আছে মন’ কেবলই ‘দৃষ্টির সীমানায়’ অ্যালবামটিকে বিমূর্ত করে। যেখানে গানের কথায় রয়েছে- ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, যে ছিল হৃদয়ের আঙ্গিনায়, সে হারালো কোথায়, কোন দূর অজানায়’। আজ মানুষের মরণত্বে শাহনাজের গানের কথাগুলোই যেন স্মৃতিপটে উদ্ভাসিত!

ইমেইল: bukhari.toronto@gmail.com

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়