শিরোনাম
◈ চিন্ময় কৃষ্ণকে বহন করা প্রিজন ভ্যান আটকে দিয়েছেন ইসকন সমর্থকরা ◈ আশুলিয়ায় ৪ বছর আগের বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের মহাসড়ক অবরোধ ◈ চিন্ময় ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর ◈ রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ৫ যাত্রী নিহত ◈ ঢাকায় শিক্ষার্থী-সংঘর্ষ : ক্ষমতার দায় ও দুর্বলতা, সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা যা মনে করেন ◈ টানা দুই হারের পর জয়ের দেখা পেলো বাংলা টাইগার্স ◈ শেখ হাসিনার পতনের পর উগ্রবাদীদের উত্থান নিয়ে ব্রিটেনের সংসদীয় গ্রুপের হুঁশিয়ারি ◈ ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের, বড় পরাজয়ের পথে মিরাজরা ◈ সংস্কার কমিশনগুলো যেসব বিষয়ে বড়সড় পরিবর্তনের কথা ভাবছে ◈ এক বছরের বেশি সময় যুদ্ধ চলার পর অবশেষে যুদ্ধবিরতি হতে যাচ্ছে ইসরায়েল ও লেবাননে

প্রকাশিত : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ০৮:১২ সকাল
আপডেট : ২৬ মার্চ, ২০১৯, ০৮:১২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভারতের মিডিয়া নির্বিচারে ‘ভুয়া খবর’ বানায়, যুদ্ধে উসকানি দেয়: অরুন্ধতী

নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তীব্র সমালোচনা করেছেন সে দেশের বুকারজয়ী লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট অরুন্ধতী রায়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, নির্বিচারে তারা ভুয়া সংবাদ নির্মাণ করে। অরুন্ধতী অভিযোগ করেছেন, কাশ্মির ইস্যুতে সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে সে দেশের মিডিয়াকে। আপফ্রন্ট অনুষ্ঠানে সাংবাদিক মেহেদি হাসানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ন্যায় ও সমতার পক্ষের বলিষ্ঠ এই কণ্ঠস্বর বাজার অর্থনীতির অভ্যন্তরে ভারতের কর্পোরেট মিডিয়ার চরিত্র উন্মোচনের চেষ্টা করেছেন। বাংলাট্রিবিউন

অরুন্ধতী রায়কাশ্মির প্রশ্নে ভারত-পাকিস্তান সাম্প্রতিক উত্তেজনার শুরু গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ১৪ ফেব্রুয়ারির (বৃহস্পতিবার) কাশ্মিরের পুলওয়ামায় ভারতীয় ‘সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের’ (সিআরপিএফ) গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়। ঘটনার জেরে ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বিমান থেকে বোমাবর্ষণ করে ভারত। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) সকালে নিজেদের সীমানায় দুটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান। পাল্টাপাল্টি বিমান হামলায় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে।

দুই পক্ষের উত্তেজনা বৃদ্ধিতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকার ব্যাপারে অরুন্ধতীর কাছে জানতে চান আলজাজিরার সাংবাদিক মেহেদি হাসান। জবাবে অরুন্ধতী বলেন, “তাদের ভূমিকা সহযোগীর চেয়েও বেশি। কখনও কখনও সরাসরি যুদ্ধের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে তাদের। বড় একটা টেলিভিশন চ্যানেলের উপস্থাপককে বলতে শোনা গেছে, ‘নিন্দা জানানোতে আমাদের কিছু যায়-আসে না। আমরা রক্ত চাই।’ ভারতের সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলোর একটি এখন এই বাস্তবতা যে দেশে চারশো’র মতো চব্বিশ ঘণ্টা সংবাদ পরিবেশনকারী টেলিভিশন চ্যানেল আছে। সরকারের যদি পতনও হয়, চ্যানেলগুলো ঠিকই টিকে থাকবে। এদের অনেকেই নির্বিচারে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করছে।”

ভারতীয় মিডিয়ার কর্পোরেট চরিত্র উন্মোচন করেছেন অরুন্ধতী। বলেছেন, চ্যানেলগুলোর কয়েকটির মালিক অস্ত্র ব্যবসায়ীরা, যাদের কারও কারও অন্য কোনও দুরভিসন্ধি আছে। বেশিরভাগ চ্যানেলের মালিক বড় বড় কর্পোরেশন। ভারতের সবচেয়ে বড় কর্পোরেশনটি একাই ২৭টি চব্বিশ ঘণ্টা চালু টেলিভিশন সংবাদ চ্যানেলের মালিক। ফলে এখানে স্বার্থের সংঘাত অবিশ্বাস্য মাত্রায় বেশি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়