সৌরভী রায়, জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নাট্যকলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামস্ শাহরিয়ার কবি’র বিচার চেয়ে একই বিভাগের ৯ম ব্যাচের ৮ম সেমিস্টারের এক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় শহিদ মিনারের সামনে আমরণ অনশনে বসেন।
সোমবার বেলা ১১ টায় নাট্যকলা বিভাগের সুব্রত ঘোষ ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা রকম অভিযোগ তুলে অনশন শুরু করে। পরে দুপুর দেড়টায় সুব্রতর সকল দাবিগুলো মেনে নেবার আশ্বাস দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সহকারী প্রক্টর বিভাষ কুমার ও নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. কামালউদ্দিন খান অনশন ভাঙ্গান এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসে নিয়ে যান।
অনশনকারী শিক্ষার্থীর অভিযোগ, ভর্তি হওয়ার পর থেকে বিভাগের শিক্ষক শামস শাহরিয়ার কবি তার সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ করে আসছে। অভিযাগের মধ্যে রয়েছে ক্লাসে তাকে এড়িয়ে চলা, ব্যবহারিক ক্লাসে তাকে কোন নির্দেশনা না দেয়া, বৈষম্যমূলক আচরণ চালিয়ে যাওয়া, পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর কম দেয়া, মানসিকভাবে তাকে হেনস্তা করা। সুব্রত ঘোষ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরেই প্রথম সেমিস্টারেই আমার শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দেবে বলে হুমকি দিয়েছিল এই শিক্ষক।
অনশনরত অবস্থায় শিক্ষা জীবন ধ্বংস করে দেয়ার কথাটি একটি প্লাকার্ডে লিখে প্রচার করেন সুব্রত। সুব্রত আরো বলেন, আমি বিষয়টি বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর মৌখিক অভিযোগ দিলে আশ্বাস দিয়েই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করা হয়। অথচ আমার অপরাধগুলোর মধ্যে শিক্ষক বলেছেন, আমি কেন তার অনুমতি ছাড়া ল্যাব ব্যবহার করেছি। কিন্তু আমি চেয়ারম্যানের অনুমতির কথা জানালে তিনি বলেন , তোমার যত সুপারভাইজ দরকার এখন তাহলে চেয়ারম্যানের কাছেই নেও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামস শাহরিয়ার কবি বলে, আমি তার সাথে কখনো অছাত্রসুলভ আচরণ করিনি। আমি বলেছি, বিভাগের মোট ২০জন ছাত্রের মধ্যে ১জন যে সুবিধা পাবে বাকী ১৯জনও সমান সুবিধা পেতে হবে। আমাদের একটি ল্যাব সে ব্যবহার করেছে। তাহলে বাকী ১৯জন কি অপরাধ করেছে। আমি তাকে বলেছিলাম , তুমি যেহেতু নিয়ম অমান্য করেছো তাই তোমাকে আমি কোন নির্দেশনা দিতে পারবো না। তোমার পরীক্ষা আমি নিবো। কিন্ত আমরন অনশন করারমত কোন ঘটনা আমি দেখছি না। বিষয়টি বিভাগীয় চেয়ারম্যান জানতেন বলেও দাবি করেন শিক্ষক শামস্ শাহরিয়ার কবি। তবে ঘটনা অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মো. কামালউদ্দিন খান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।
আপনার মতামত লিখুন :