আনিস তপন : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ওরাল এ্যান্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রাজন কর্মকারের মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে সুরতহাল রিপোর্টে দাবি করেছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার এসআই মো, জামিল হোসাইন।
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার এস আই মো. জামিল হোসাইনের তৈরি করা ডা. রাজন কর্মকারের সুরতহাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃতের পরনে কালো রং এর প্যান্ট, কোমড়ে বেল্ট এবং প্যান্টের নিটে আন্ডার ওয়্যার পরা ছিল। মৃতের দুই হাত শরীরের দুই পার্শ্বে লম্বাভাবে খোলা অবস্থায় আছে। পা দুইটা লম্বালম্বি। মৃতের মাথার চুল কালো ও কোকড়ানো যারা লম্বা দুই ইঞ্চি। কান, নাক স্বাভাবিক, চোখ বন্ধ এবং স্বাভাবিক। বুক, পেট ও নাভী স্বাভাবিক। হাতের বাহুর উপরে লালচে দাগ পরিলক্ষিত হয় এবং ডান বগলের নিচে লালচে কালসিটে দাগের মতো পরিলক্ষিত হয়। তাছাড়া মৃতের প্যান্ট ও আন্ডারওয়ার খুলে দেখা গেছে পুরুষাঙ্গও স্বাভাবিক। মৃতের শরীর উল্টাইয়া-পাল্টাইয়াও অন্য কোথাও কোনো দাগ দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মেয়ে ডা. কৃষ্ণা মজুমদারের স্বামী ডা. রাজন কর্মকারকে গত ১৬ মার্চ রাত ৩টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর কারণ হিসেবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়াকে দায়ী করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অপরদিকে ডা. রাজনের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্তের দাবির প্রেক্ষিতে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে ময়নাতদন্ত শেষে ডা. রাজন কর্মকারের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ।
আপনার মতামত লিখুন :