আমিনুর বাদশাহ : যৌন উত্তেজক ওষুধ সামগ্রীতে সিলডেনাফিন সাইট্রেট মিশ্রন করে ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, হালুয়া ও সিরাপ তৈরি করে তা বাজারে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। সিলডেনাফিন সাইট্রেট স্বস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিছু ওষুধ কোম্পানি বেশি লাভের আশায় এসব ওষুধ বাজারজাত করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার মিডফোর্ড এলাকার পাইকারি ওষুধ মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, নামে-বেনামে বিভিন্ন প্রকার যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, হালওয়া ও সিরাপ ফার্মেসিতে শোভা পাচ্ছে। এর মধ্যে সিরাপ জিনসিন প্লাস, জিনসেং , জিনসেং পাওয়ারসহ একই জিনসিন ভিন্ন নাম ভিন্ন দাম আর বিভিন্ন গেট-আপ দিয়ে শতাধিক কোম্পানি এই ওষুধ বাজারজাত করছে।
সিলডেনাফিন সাইট্রেট মিশিয়ে যে সকল কোম্পানি ভেজাল ও স্বাস্থ্যের ক্ষতিকর এসব যৌন উত্তেজক ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এর মধ্যে রয়েছে, ঢাকা অর্গানিক ফার্মা, ন্যাচার ফার্মাসিউটিক্যালস, বায়োমেডিক্স ফার্মাসিউটিক্যালস, ইন্ট্রা ফার্মাসিউটিক্যালস, সোলার ফার্মাসিউটিক্যালস, এপেক্স ফার্মাসিউটিক্যালস, ইউনিভার্সেল ফার্মাসিউটিক্যাল, গ্রেণ-প্লাস ফার্মাসিউটিক্যালস, সিকো ফার্মাসিউটিক্যালস, জেনিয়াল ইউনানী অন্যতম।
মিরপুর মেডিনোভা হাসপাতালের ট্রেডিশনাল মেডিসিন বিভাগের ডা. রুহুল আমিন জানান, এসব সিলডেনাফিন সাইট্রেট মেশানো ভেজাল যৌন ওষুধ সামগ্রী খেলে মানুষের লিভার, কিডনি ও হার্ট বিকল হওয়ার সম্ভবনা শতভাগ। মিরপুর ইউনানী-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার ইমরান হোসেন জানান, প্রতিনিয়ত এসব ওষুধ সামগ্রী সেবনের ফলে যুবসমাজ বিপথ গামী হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের মৃত্যু ঝুঁকিও রয়েছে।
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. রুহুল আমিন জানান, ট্রেডিশনাল মেডিসিন যৌন উত্তেজক ওষুধ সামগ্রীতে সিলডেনাফিন সাইট্রেট ব্যাবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ইতোমধ্যে বেশকটি কোম্পানীর যৌন উত্তেজক ওষুধের নমুনা ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটারীতে পরীক্ষা করা হয়েছে। ওই সব নমুনায় সিলডেনাফিন সাইট্রেট শনাক্ত হওয়ায় ওষুধ প্রশাসন ওই সকল কোম্পানীর লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছে। নতুন করে কোন ট্রেডিশনাল মেডিসিন কোম্পানি যদি যৌন উত্তেজক ওষুধ সামগ্রীতে সিলডেনাফিন সাইট্রেট মিশ্রন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :