আব্দুস সালাম : অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশে যে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণের কেনাবেচা হয় তার একটা বড় অংশ আসে চোরাই পথে। এবং বিরাট এই চোরাই ব্যবসা থেকে সরকার কোন শুল্ক পায় না। স্বর্ণ আমদানির জন্য লাইসেন্স নেওয়ায় আবেদনপত্র বিতরণ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিতরণ শুরু হয়েছে ১৮ই মার্চ থেকে। বাংলাদেশে স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পাওয়ার আবেদনপত্র বিতরণের বিষয়টি স্বর্ণ নীতিমালা ২০১৮এর একটি আইন হিসেবে এসেছে। গত বছর অক্টোবরে মন্ত্রিসভায় নীতিমালাটি অনুমোদিত হয়। বিবিসি বাংলা
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলছিলেন, এখন পর্যন্ত কেউ এই আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন। এই লাইসেন্স প্রথা চালু হলে ব্যবসায় হয়রানির শিকার হবেন না। সরকারের নিয়মানুযায়ী শুল্ক দেয়া হলে, কোন সমস্যা থাকার কথা না। তিনি বলছেন, এই লাইসেন্স দেয়ার ফলে ব্যক্তি পর্যায়ে হয়রানি হবে এবং সরকার লাভবান হবে কারণ সরকার এখান থেকে শুল্ক পাবে।
তিনি আরো বলেন, এই লাইসেন্স নিতে হলে এক কোটি টাকার মূলধন, ট্রেড লাইসেন্সসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য লাইসেন্স থাকতে হবে এবং ব্যাংকে অফেরতযোগ্য পাঁচ লক্ষ টাকা পে অর্ডার হিসেবে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্ট এসোসিয়েশন বলছে, প্রথমেই সরকারকে সহনশীল মাত্রায় শুল্ক নির্ধারণ করতে হবে। তা না হলে ক্ষতির মুখে পড়বে ব্যবসায়ীরা। প্রস্তাবিত নীতির বাইরে ব্যক্তি-কেন্দ্রিক লাইসেন্স দেয়া হলে তাদের কর্মকাণ্ডের দায়ভার নেয়ার প্রশ্নে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীরা নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :