সাইদুর রহমান : ইবাদত কবুল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত হলো হালাল খাদ্য। হারাম মালের একমাত্র উপযুক্ত হচ্ছে ফকির-মিসকিন। দুআ-নামাজ কিছুই কবুল হবে না। এমনকি যদি সেই সম্পদ থেকে দান-সদকা করে তাও কবুল হবে না। আল্লাহ পাকের বিশেষ রহমত থেকেও সে বঞ্চিত থাকবে।
এক হাদীসে এসেছে, যে ব্যক্তি অন্যায় পথে মাল কামাই করে এবং সেই মাল থেকে সদকা করে, তার সেই সদকা কবুল হয় না, সেই মাল থেকে নিজের প্রয়োজনে খরচ করলে তাতে বরকত হয় না, যদি সেই সম্পদ রেখে সে মারা যায়, তবে তার জন্য তা জাহান্নামের পরোয়ানা হয়ে যায়।
তোমরা নিশ্চিতভাবে জেনে নাও, আল্লাহ তাআলা অন্যায়কে অন্যায় দ্বারা (অর্থাৎ হারাম মালের সাদাকা দ্বারা গুনাহ) মাফ করেন না, যেমন একটি অশুচি অপর অশুচিকে পবিত্র করতে পারে না। বরং আল্লাহ তাআলা নেকআমলের বদলে বদআমল মিটিয়ে থাকেন। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৩৬৭২)
একটি দীর্ঘ হাদীসে নবীজী ইরশাদ করেন, হে লোক সকল! আল্লাহ তাআলা নিজে পাক ও পবিত্র, তাই পবিত্র এবং হালাল মালই শুধু তিনি কবুল করে থাকেন। লোকটি বহুদূর পথ সফর করে (কোন বরকতময় স্থানে দুআর জন্য) এলো, তার চুল উশকো-খুশকো, শরীর ধুলোমলিন, আকাশের দিকে দুহাত তুলে ফরিয়াদ করতে লাগলো, আয় আল্লাহ আয় মালিক! কিন্তু তার অন্ন-বস্ত্র সবই হারাম মাল থেকে আসে। হারাম মাল দ্বারাই সে প্রতিপালিত। এই ব্যক্তির দুআ কেমন করে কবুল হবে! (সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১০১৫)
অর্থাৎ যার খানাপিনা হারাম মাল থেকে হয়, তার দুআ কবুল হওয়ার সম্ভাবনা রাখে না। এক হাদীসে এসেছে, যদি কেউ দশ দিরহামে একটি কাপড় ক্রয় করে, আর যদি দশ দিরহামের একটি দিরহামও হারাম হয়ে থাকে, তবে ঐ কাপড় যতদিন তার গায়ে থাকবে ততদিন তার কোনো নামায কবুল হবে না। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং ৫৭৩২)
আরেক হাদীসে এসেছে, হারাম মালে প্রতিপালিত দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না। (আল মুজামুল আউসাত, হাদীস নং ৫৯৬১)
আপনার মতামত লিখুন :