নূর মাজিদ : গত নভেম্বর নাগাদ এই পরিস্থিতি দেখা যায়। বছর শেষেও এই অবস্থার কোন উন্নয়ন হয়নি। ফলে চলতি বছরটাই শুরু হয়েছে বৈশ্বিক বন্ড এবং শেয়ার বাজারে বিদ্যমান অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে। ফিনান্সিয়াল টাইমস
২০১৮ সালে বন্ড বাজারের এই অবস্থান গত বিশ্বমন্দার পরে সবচাইতে দুর্বল বিনিয়োগ ও ঋণ পরিবেশের সৃষ্টি করে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রীয় এবং বাণিজ্যিক বন্ডের এই বিক্রি কমার প্রবনতা খুবই বিরল। চলতি বছরেও এই অবস্থার বিশেষ পরিবর্তন আশা করা হচ্ছেনা।
এর আগে বিশ্বমন্দা চলাকালীন সময়ে ২০০৮ সালে বিশ্ববন্ডের বাজাওে ব্যাপক ধ্বস নামে। সেসময় বন্ডের বাজারের আকার ১৮ লাখ কোটি ডলার কমে। তবে ২০১৮ সালে বন্ডের বাজার হ্রাসের পেছনে প্রধান অবদান রাখে মার্কিন ডলারের দরবৃদ্ধি। এসময় মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দফায় দফায় সুদের হার বৃদ্ধি অনেক বিনিয়োগকারীকে আকৃষ্ট করতে সমর্থ হয়। এসময় বন্ডের বিপরীতে মার্কিন ডলারে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ে।
এছাড়াও, রাশিয়া এবং চীনের মতো অনেক প্রভাবশালী দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের নিরাপদ আশ্রয় ত্যাগ করে স্বর্ণ মজুদের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ফলে সার্বিকভাবেই একটি নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়ে বৈশ্বিক বন্ডের বাজার।
আপনার মতামত লিখুন :