✖

সুজন কৈরী: ট্রাফিক ই-প্রসিকিউশনের (মামলা) জরিমানা পরিশোধ করতে এখন থেকে আর ট্রাফিক অফিসে যাওয়া লাগবে না। মামলার সময় ঘটনাস্থলেই ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে নিরাপদ নেটওয়ার্কিংয়ে জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাবে। ভবিষ্যতে এমন সুবিধা দিতে গ্রামীনফোনের ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) পদ্ধতির সঙ্গে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের ই-প্রসিকিউশন সিস্টেমকে সংযুক্ত করা হয়েছে।

রোববার সকাল ১০টায় ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের মধ্যে ভিপিএন কানেকটিং এমওইউ স্বাক্ষর হয়েছে। ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়ার উপস্থিতিতে উক্ত এমওইউতে স্বাক্ষর করেন ডিএমপির পক্ষ থেকে উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর দপ্তর ও প্রশাসন) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ও গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি ডিরেক্টর, হেড অব কর্পোরেট বিজনেজ মো. নাছার ইউসুফ। এ সময় ডিএমপি ও গ্রামীণফোনের ঊর্ধ্বতন কর্মরর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় ডিএমপি কমিশনার নাগরিক সেবায় ডিজিটালাইজেশনের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বলেন, দুর্নীতি ও অনিয়ম রোধ করে ভালো নাগরিক সেবা দেয়ার উদাহরণ ডিএমপিতে তৈরি হয়েছে। এটাকে অনুকরণ করে পুলিশের অন্যান্য ইউনিট নিজেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছে। যা একটি ভালো দিক। ট্রাফিক পস মেশিনের মাধ্যমে প্রসিকিউশন যেমন সহজ ও স্বচ্ছ হচ্ছে, ঠিক সেইসঙ্গে দুর্নীতিও কমেছে। সরকারের প্রতিটি বিভাগই ডিজিটালাইজ হয়েছে। সেক্ষেত্রে ডিএমপি অনেক এগিয়ে রয়েছে। ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের পর জরিমানা পরিশোধ করে ট্রাফিক অফিস বা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজ পেতে জনসাধারণের বিড়ম্বনা পোহাতে হতো। ভালো সেবা দিয়ে বিড়ম্বনা কমানোই আমাদের লক্ষ্য। এই বিড়ম্বনা রোধ করতে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের পস মেশিনগুলো ভিপিএন-এর নিরাপদ নেটওয়ার্কের আওতায় আনায় ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে।

জরিমানা আদায়ের বিষয়ে আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বর্তমানে ট্রাফিক প্রসিকিউশনে জরিমানা অন দ্যা স্পট ইউক্যাশ সার্ভিসের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সকলের বিকাশ একাউন্ট রয়েছে। ট্রাফিক জরিমানা অন দ্যা স্পট বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের জন্য বিকাশ কর্তৃপক্ষকে এর আওতায় আনা হবে। ভবিষ্যতে ডেবিট-ক্রেডিট কার্ড সুইফ করে জরিমানা পরিশোধ করলে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষের জরিমানা প্রদান সহজ হবে। কোনো কাগজ আটকে রাখার প্রয়োজন হবে না।

নাগরিক সেবা সহজতর করতে ভালো আইডিয়া ও সার্ভিস দিয়ে ডিএমপিকে সহযোগিতার আহবান জানান ডিএমপি কমিশনার।

অনুষ্ঠানে গ্রামীণফোনের ডিডি নাছার ইউসুফ বলেন, এই ভিপিএন পদ্ধতির ফলে জনভোগান্তি অনেক হ্রাস পাবে। ২০১৬ সাল থেকে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে গ্রামীণফোন কাজ করছে। ইন্টারনেটের পরিবর্তে ইন্ট্রানেট সিস্টেমই এই ভিপিএন। সিকিউর কানেকশনের জন্য ভিপিএন জরুরী। ট্রাফিক প্রসিকিউশনে অনেকে অন দ্যা স্পট জরিমানা পরিশোধ করতে ইচ্ছুক থাকেন। সেক্ষেত্রে কার্ড সুইফ করে ভিপিএন-এর মাধ্যমে নিরাপদে জরিমানা পরিশোধ করা যাবে। ট্রাফিক বিভাগের ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশনের ৩শ’টি সিম ভিপিএন-এর আওতায় আনা হয়েছে। ভবিষ্যতে জনকল্যাণে এমন সিকিউরিটি সিস্টেমে গ্রামীণফোন কাজ করতে আগ্রহী।