মারুফুল আলম : শাহনাজ রহমত উল্লাহর জনপ্রিয়তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার বলেন, সুরের সাথে একটা শাস্ত্রীয় কাজ থাকতো তার। গলার ঢং ছিলো রেওয়াজি। বিবিসি বাংলা
প্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়লাভের মুহূর্তে শাহনাজ রহমত উল্লাহর কণ্ঠেই ধ্বনিত হয়েছিলো জয় বাংলা-বাংলার জয় গানটি।
শাহনাজ রহমত উল্লাহ অনেকগুলো কালজয়ী গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছেন। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা গান ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’সহ অসংখ্য কালজয়ী গান তাঁর কণ্ঠ থেকেই ধ্বনিত হয়েছে।
কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, শাহনাজ রহমত উল্লাহ তার অপূর্ব কণ্ঠ আর গায়কী ঢং দিয়ে কয়েক প্রজন্মকে একই সূত্রে গেঁথেছেন। অসাধারণ মানবিক গুণাবলী দিয়ে পরবর্তীকালের শিল্পীদের কাছেও তিনি প্রিয় হয়ে ওঠেন।
১৯৫৩ সালে জন্মগ্রহণ করা এ শিল্পী ১০ বছর বয়স থেকেই গান শুরু করেন। খেলাঘর থেকে শুরু করা এ শিল্পীর কণ্ঠ শুরু থেকেই ছিল বেশ পরিণত। গজল সম্রাট মেহদী হাসানের শিষ্য হয়েছিলেন তিনি। গান শুরু করেছিলেন মায়ের অনুপ্রেরণায়। ১৯৯২ সালে একুশে পদক পাওয়া শাহনাজ রহমত উল্লাহ স্বামী, এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে ২৩ মার্চ ২০১৯ সালে পরপারে পাড়ি জমান।
আপনার মতামত লিখুন :