মঈন মোমাররফ : পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ বলছে, মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে যত অপরাধ হয়, তার খুব সামান্য একটি অংশই তাদের কাছে অভিযোগ করে থাকেন। আবার যারা অভিযোগ করেন, তাদের সবাই মামলা করতে চান না। ২০১৭ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সার্ভিস নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আসা অভিযোগের সংখ্যা মাত্র ৪২টি, এর মধ্যে মামলা হয়েছিলো ১৮টি। কিন্তু ২০১৮ সালে অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১৭টি, আর এর মধ্যে মামলা হয়েছে মাত্র ১০টি।
এ প্রসঙ্গে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার মোঃ আলীমুজ্জামান শুক্রবার বিবিসি বাংলাকে বলেন, ফেসবুক ভিত্তিক প্রতারক দলও আছে, তারা বন্ধুত্ব করে, হয়তো কাউকে বলে যে আপনার নামে বিদেশ থেকে গিফট পাঠানো হয়েছে, ট্যাক্স ও ভ্যাট দিয়ে ডিএইচএল থেকে ছাড়িয়ে নিতে হবে। টাকা লেনদেনের সহজ মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছে, তেমনি এ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা, চাঁদাবাজী এবং মুক্তিপণ আদায়েরও অনেক অভিযোগ তারা পান।
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ধরণের ফাঁদ পেতে এসব অপরাধ হয়ে থাকে। আমরা যাদের গ্রেপ্তার করেছি, তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, কয়েকটি ভাগে এদের লোকজন কাজ করে। এরা নিকটস্থ বিকাশের দোকান থেকে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে, এরপর ফোন করে ফাঁদ পাতে।
আপনার মতামত লিখুন :